সৌদি ও ওমানের কর্মস্থলে গেলেন ৪৭৬ বাংলাদেশি

- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেক, ঢাকা
স্বদেশে এসে লকডাউনে আটকা পড়েছেন হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক। তাদের কর্মস্থলে ফেরাতে শনিবার থেকে ৫টি দেশে বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
কিন্তু শনিবার দুপুর পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্তের প্রতিফল না পেয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের হোটেল সোনারগাঁও অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এদের অনেকেই জানান, লকডাউনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তারা অনেক টাকা ব্যয় করে এসেছেন। অনেকের শনিবার রাত ১২টার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এরপর তারা সেখানে পৌছালে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তাদের গ্রহণ করবে না।
এঅবস্থায় প্রবাসী শ্রমিকদের মাঝে হাহাকার পড়ে যায়। অথচ এর আগে বৃহস্পবিতার রাতে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে শনিবার থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের তাদের কর্মস্থলে ফেরাতে বিশেষ ফ্রাইট চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
এই খবর পেয়ে শনিবার রাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা ঢাকার পথে রওয়ানা দেন। অনেকেকে কাকা ভোর থেকে ঢাকায় পৌছে যান। কিন্তু সৌদী এযারলাইন্স অফিস বন্ধ থাকায় তারা হতাশায় পড়ে যান।
অবশেষে সরকারের তরফে সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শ্রমিকদের যাবার অনুমতি দেয়া হয়। এরপর রাত থেকেই ফ্লাইট চালু হয়। রবিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যারাবিয়ার বিশেষ ফ্লাইটে ৪৭৬ জন প্রবাসীকর্মী রওনা হন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরব ও ওমানের পথে দুইটি বিশেষ ফ্লাইটযোগে এসব শ্রমিক রওয়ানা দিয়েছেন।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যে ও সিঙ্গাপুরে প্রবাসীকর্মীদের পরিবহনের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুইটি বিশেষ ফ্লাইটে সৌদি আরব ও ওমানের উদ্দেশে রওনা হন ৪৭৬ জন প্রবাসীকর্মী।
তাদের মধ্যে বিমানে ২৭১ জন ও এয়ার অ্যারাবিয়ায় ২০৫ জন। আর রাত ১২টা পর্যন্ত আরও ৯টি ফ্লাইটে দেড় হাজারের অধিক যাত্রীর বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সিডিউল রয়েছে তাদের।
সূত্র মতে শনিবার ফ্লাইট চালুর কথা থাকলেও ল্যান্ডিং অনুমতি নিয়ে জটিলতার কারণে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হয়। নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত যাত্রীদের আবাসিক হোটেলে রাখা হয়। তাদের অনেকেই এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে সৌদি ও ওমান যান।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন হাসিনা সরকার।