সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম পাথেয় তথ্য-প্রযুক্তি : ড. মোমেন
- আপডেট সময় : ০৮:৫০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৯৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
লাঙ্গলজোয়ালের দেশের মহাকাশ থেকে শুরু করে জলে তলা অব্দি জয় সম্ভব হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনার দুর্শিতায় তা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম শক্তির হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। যার প্রসার সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘বৈঠক’ অ্যাপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন একথা বলেন। দেশের নিজস্ব কারিগরি কুশলতায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনায় ‘বৈঠক’ অ্যাপটি, জুম বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
এ সময় ড. মোমেন বলেন, বিদেশী সাহায্য নির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় নির্ভর অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে চলেছি দুর্বার গতিতে। সেজন্য প্রয়োজন কৃষি, শিল্প, সেবা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল খাতে আমাদের সাফল্যের ধারা বজায় রাখা।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন ১৬ কোটির ওপরে মানুষ। আইসিটি সেক্টর থেকে প্রতি বছর আমরা এক বিলিয়ন ডলার আয় করছি। ২০২৫ এর মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের আশা করেন বিদেশমন্ত্রী।
বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বের কাছে স্বীকৃত এবং এবিষয়ে সম্প্রতি ১৪৭ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন। দেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সম্পদের পাশাপাশি রয়েছে অধম্য স্পৃহা। রয়েছে সঠিক দিক নির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে নিয়ে সকল অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করে যাবার ডাক দেন ড. মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ হবার পাশাপাশি জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। আর এই সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে ডিজিটাল সরকারব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হচ্ছে। এবং সেই পথে এগিয়ে যাবার একটি চমৎকার উদাহরণ এই ‘বৈঠক’ প্লাটফর্ম। তথ্য-প্রযুক্তির নতুন নতুন মাত্রার সাথে সামিল হতে আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন এখনই দরকার। জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল কর্মযজ্ঞে।