একেবারে সাঁড়াশি অভিযান যাকে বলে, তেমন পদক্ষেপই নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর প্রমাণও মেলে। গত এক মাসে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পারাপারের অভিযোগে ৩০০জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদেরকে কোয়ান্টিনে রাখা হয়েছে।
কোয়ারিন্টিনের মেয়াদ শেষ হলেই পুলিশে হস্তান্তর করা হবে। এমন বিস্ফোরক তথ্য জানিয়ে বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বলেছেন, নারী-শিশু পাচারে জড়িত কাউকেই ছাড় নয়।
এদিন ঢাকার গুলশানে বিজিবি’র নিজস্ব সীমান্ত ব্যাংকের ১৯তম শাখার উদ্বোধন করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক মো. সাফিনুল ইসলাম জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারাপারের অপরাধে আটক করা হয়েছে। তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন শেষে হলেই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করব।
মহাপরিচালক আরও বলেন, নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবি’র জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এমনকি নারী পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় কারও কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না।
সাফিনুল ইসলাম বলেন, নারী পাচার রোধ এবং জনসচেতনতা বাড়াতে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয়, সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবি’র একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব নয়।
বিজিবির মহাপরিচালক আরও বলেন, সাতক্ষীরায় নারী পাচারের অভিযোগে এক নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ধরতে আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় হানা দিই। কিন্তু, তিনি বাসায় নেই। এ বিষয়ে পুলিশকেও জানিয়েছি। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রকের অধীনে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও কাজ করছি।
সীমান্তে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা সম্পর্কে মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবিও কাজ করছে। এখন বাংলাদেশের সীমান্ত ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার।
আমাদের একটি বিওপি থেকে আরেকটি বিওপির দূরত্ব ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার। বিওপিতে টহল দল থাকে, তারপরও শতভাগ সম্ভব হয়ে ওঠে না। এরপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।