সীমান্তে কঠোর লকডাউনের দাবি বিশেষজ্ঞদের

- আপডেট সময় : ০৭:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
সীমান্তবর্তী জেলায় জেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ আগে থেকেই বাড়ছিল। এবার তার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে একের পর এক জেলা। ঢাকা বিভাগে শনাক্তের হার কিছুটা কমলেও ইতিমধ্যে বেড়েছে, রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে। চট্টগ্রাম বিভাগের শুধু নোয়াখালীতে চট্টগ্রাম জেলা থেকেও শনাক্তের হার বেশি। তাছাড়া বরিশালের পিরোজপুরে শনাক্তের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো কঠোর লকডাউনে রাখা না গেলে সারাদেশে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, সীমান্তবর্তী ১৭টি জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এরমধ্যে ৮টি জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে অধিক মাত্রায়, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও দেশের অন্যান্য জেলার মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেও ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে। এভাবে চললে সামনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউন দিতে হবে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলার মানুষদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া যাবে না-এমন লকডাউন প্রয়োজন। একই সঙ্গে অবৈধপথে ভারত থেকে মানুষ আসা বন্ধ করতে হবে। এগুলো করতে না পারলে সংক্রমণ সারাদেশে বেড়ে যাবে, তখন স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।
বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও রাজশাহীতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নাটোরে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুই জন মারা গেছেন। মোংলায় বুধবার নতুন করে ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রংপুর জানান, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় গত ৮ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ৪৮ ঘন্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৭২ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ আহাদ আলী।
তিনি জানান, রংপুর মহানগরীতে করোনা রোগীদের জন্য ১শ বেডের একটি স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মান করা হয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্মিজেন ও আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর আছে। রংপুর ও দিনাজপুরে ১৮টি সিসিইউ বেড রয়েছে।
যশোর অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে ১৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বুধবার শনাক্তের হার ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত এপ্রিল মাসের পর এটাই সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার ছিল ৪২ শতাংশ।