সালিস বৈঠকে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
- আপডেট সময় : ১০:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
সালিম বৈঠকে ভাইস চেয়ারম্যানের পিটিুনিতে ইসরাফিল মোল্লা (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দামুড়হুদা থানা গেইটে ঘটনা। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ইসরাফিল মোল্লা(৭৫) দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, দামুড়হুদা থানায় জমিজমা নিয়ে সালিস বৈঠক বসে। একই এলাকার পীরপুরকুল্লায় গ্রামের বজলুর রশিদ ও নজরুল ইসলামের মধ্যে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এ ঘটনায় শামসুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় একই গ্রামের বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে নিয়ে শুক্রবার থানা চত্বরে সালিস বৈঠকে বসে।
সালিস বৈঠক শেষের এক পর্যায়ে থানার সামনে ডেকে নিয়ে বজলুর রশিদের পক্ষের বৃদ্ধ ইসরাফিল মোল্লাকে চড় থাপ্পর ও কিল ঘুষি মেরে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সালিসের এক পর্যায়ে দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাদী নজরুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে আক্রমনাত্মকভাবে ইসরাফিলকে গালি-গালাজ করতে থাকে। পরে তাকে চড়-থাপ্পড় কিল-ঘুষি ও গলা টিপে ধাক্কা মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে শুক্রবার দুপুরে দু’পক্ষকে নিয়ে সালিস বৈঠকে বসা হয়। শান্তিপূর্ণভাবে সালিস শেষ হলে তারা থানার বাইরে বেরিয়ে পড়ে।
থানার বাইরে ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে বজলুর রশিদ পক্ষের লোকজন। এসময় শহিদুল ইসলাম ইসরাফিলকে ধাক্কা ও ঘুষি মারলে সে মাটিতে পড়ে যায়।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।