সাম্রাজ্যবাদের ৩০০ বছর আগের কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছে চীন
- আপডেট সময় : ১০:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০ ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্ত হতে চীনের ‘ওয়ান বেল্ট অ্যান্ড ওয়ান রোড’ প্রকল্পকে সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেছেন আলবেনিয়ার ইতিহাসবিদ ওলসি জাজেক্সি। চীনের এ উন্নয়ন কৌশলকে ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী কৌশলের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিহাসবিদ ওলসি ইউটিউবে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, অ্যাংলো-আমেরিকানরা ৩০০ বছর যে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালিয়েছে ঠিক সে পথই অনুসরণ করেছে চীন। এ প্রকল্প মূলত সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালানোর একটি কৌশল।
২০১৩ সালে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড নামে একটি উন্নয়ন কৌশল ও কাঠামো উপস্থাপন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের ৬০টি দেশের সঙ্গে চীনের মূল ভূখণ্ডকে সংযুক্ত করা। পরিকল্পনার অংশ মূলত দুটি। সড়ক পথে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে সংযুক্ত হবে চীন। এই সড়ক পথের সঙ্গে রেলপথ ও তেলের পাইপলাইনও রয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রপথেও বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হবে দেশটি।
এ প্রকল্পের বিষয়ে ইতিহাসবিদ ওলসি জাজেক্সি বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদ মূলত বাণিজ্যের মাধ্যমেই শুরু হয়। তারপর বাণিজ্যের কাঠামোকে সরিয়ে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়। তারপরই নির্দিষ্ট অঞ্চলের বা দেশের সরকারকে অপসারণ করে সেনাবাহিনী। এভাবেই মূলত সাম্রাজ্যবাদ কাজ করে।
এ ইতিহাসবিদ বলেন, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রজেক্ট চীনের সাম্রাজ্যবাদী প্রজেক্ট। ব্রিটেন যেভাবে পাক-ব্রিটেনে তার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালিয়েছিল সেভাবেই এগুচ্ছে এটি। ব্রিটেনের ওই আগ্রাসনের ফলে গত ২০০ থেকে ৩০০ বছরে নানা সংঘাত, সহিংসতা লেগেছিল। আর এ প্রকল্পের মাধ্যমে চীন সেই পথেই হাঁটছে। তিনি বলেন, শুরুতে ব্রিটেন ভারতে সরাসরি এবং তড়িঘড়ি করে আক্রমণ করেনি। তারা এ অঞ্চলে ব্যবসার কথা বলে এসেছিল। তারা ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি চালু করে। তাই সাম্রাজ্যবাদ ব্যবসার মাধ্যমেই শুরু হয় এবং সম্প্রসারিত হয়। আর চীন সে পথেই যাচ্ছে।
চীনে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন ওলসি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উইঘুরদের ওপর নির্যাতনে পাকিস্তান নীরব ভূমিকা পালন করছে। পাকিস্তান ভালো করেই জানে চীনে কী হচ্ছে। কিন্তু তারা সরাসরি কিছু বলবে না। কারণ চীনের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া পাকিস্তান অচল।