ছবি সংগ্রহ
সফটওয়্যার আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেমটি পুরোপুরিভাবে কখনো বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র এর গতি কিছুটা দুর্বল ছিলো। পাসপোর্ট সংক্রান্ত সাময়িক সমস্যা নিয়ে কিছু বৈদেশিক মিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে
প্রাবাসীদের মধ্যে এবং মিডিয়ায় এ নিয়ে অতিরঞ্জিত করেছে। যা অনাকাক্সিক্ষত বলে দাবি পাসপোর্ট অধিদফতরের। সংস্থাটি বলছে, এতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই ছিল না।
পাসপোর্ট অধিদফতরের ব্যাখ্যায় বলা হয়, অতি পুরাতন এমআরপি সিস্টেমের এ ধরনের সাময়িক প্রতিবন্ধকতা আগে অনেকবার হয়েছে। সেটা সমাধানও করা হয়েছে। ই-পাসপোর্ট পূর্ণ
চালু না করা পর্যন্ত মাঝে মাঝে এ ধরনের সাময়িক সমস্যা হওয়া অবান্তর নয়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এ বিষয়টি মনিটর করছে।
অধিদফতর ব্যাখ্যায় বলছে, ই-পাসপোর্ট চালুর লক্ষ্যে জুলাই ২০১৯ সালে ভেরিডোস জিএমবিএইচ, জার্মানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী দেশে অবস্থিত ৭২টি অফিস এবং বিদেশস্থ ৮০টি বাংলাদেশ মিশন থেকে ই-পাসপোর্ট ১৮ মাসের মধ্যে চালুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
দেশে অবস্থিত ৭২ অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ৮০টি বাংলাদেশ মিশনের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পিছিয়ে দেয়। ফলে মিশনসমূহ থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রদান করতে হচ্ছে।
গত ১১ আগস্ট ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং আইরিশ’র সঙ্গে ভার্চুয়ালি চুক্তি স্বাক্ষরিত কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১২ আগস্ট প্রায় ৫ হাজার ও ১৩ আগস্ট ৬ হাজারের অধিক
আবেদনপত্র এফিস সফটওয়্যার সিস্টেমে প্রসেস করা হয়েছে। ১৬ ও ১৭ আগস্ট ২১ হাজার ৬০টি আবেদনপত্রসহ আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার আবেদনপত্রের মধ্যে ৪ দিনে সর্বমোট ৩২
হাজার ৬০টি এমআরপি আবেদনপত্র এফিস সফটওয়্যার সিস্টেমে প্রসেস হয়। যা ৭দিনের মধ্যেই সব পেন্ডিং আবেদনপত্র নিষ্পত্তির বিষয়ে জানায় আইরিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানায়, এফিস সফটওয়্যার আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেমটি পুরোপুরিভাবে কখনো বন্ধ হয়নি, গতি কিছুটা দুর্বল হয়েছিলো মাত্র। এতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ছিল না।