সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন

- আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত আইনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বে-আইনি প্রবেশ, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সিস্টেমে ক্ষতি, সাইবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অজামিনযোগ্য চারটি ধারা রাখা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, খসড়ায় সংজ্ঞাসহ সামান্য কিছু পরিবর্তন করে সেটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১৭, ১৯, ২৭ ও ৩৩ ধারা অজামিনযোগ্য রয়েছে। বাকিগুলো জামিনযোগ্য।
১৭ ধারায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বে-আইনি প্রবেশ, ১৯ ধারায় কম্পিউটটার ও কম্পিউটার সিস্টেমে ক্ষতি, ২৭ ধারায় সাইবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং ৩৩ ধারায় হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে বলা আছে।
বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে প্রায় একই আদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছে সরকার।
গত ৭ অগাস্ট সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। নীতিগত অনুমোদনের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সংসদের আগামী অধিবেশনে এই আইন পাস করা হবে।
নতুন এইনে মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমেদানের পর উদ্বেগ জানিয়ে আসছে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো ও অধিকারকর্মীরা।
বিএনপির অভিযোগ, এই আইন ‘নতুন বোতলে পুরনো মদ’ আনছে। তবে এই আইনের সমালোচনা যারা করছেন তারা তা না জেনেই করছেন বলে আইনমন্ত্রী বলেছেন।
ডিজিটাল আইন পরিবর্তনে সন্তুষ্ট জাতিসংঘের সমন্বয়কারীডিজিটাল আইন পরিবর্তনে সন্তুষ্ট জাতিসংঘের সমন্বয়কারী সাইবার নিরাপত্তা আইনে শাস্তি কমানোর প্রস্তাবসাইবার নিরাপত্তা আইনে শাস্তি কমানোর প্রস্তাব ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হবে না ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হবে না
দেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ব্যাপক আপত্তি ও উদ্বেগের মধ্যে ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭সহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলেও পুরনো আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলো রেখে দেয়ায় শুরু থেকেই এর অপপ্রয়োগের শঙ্কা করছিলো বিভিন্ন মহল।
আইনের ‘অপব্যবহার’ বন্ধে আশ্বাসের মধ্যেও সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার চলছিলো। সাংবাদিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এই আইনের মাধ্যমে ‘গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ’ করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইনটি গণমাধ্যমের ওপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করেছিলো বলে স্বীকারও করেন আইনমন্ত্রী। তার ভাষ্যমতে সেই চাপ কমাতেই নতুন আইনের খসড়ায় সাজা কমানো হয়েছে।