সাংবাদিকদের জনকল্যাণমুখী কাজে সম্পৃক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু

- আপডেট সময় : ১২:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১ ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ
ঢাকা জেলায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে ৫ লাখ শিশু
বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জনকল্যাণমুখী কাজে সম্পৃক্ত করেছিলেন। বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউট (পিআইবি), বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল তার প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ধ্বংস্তস্তুপে দাঁড়িয়ে গোছানোর কাজে হাত দিয়েছিলেন। তখনই তিনি চিন্তা করেছিলেন, সাংবাদিকদের নিজস্ব স্বকীয়তার পাশাপাশি জনকল্যামুখী কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। আজ পিআইবি যা করছে, তা বঙ্গবন্ধু দেখানো পথেই হাঁটছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডে অবস্থিতি প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সচেতনতামূলক আয়োজনের সভাপতির বক্তৃতায় পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ উল্লেখতি কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ আর কর্মশালার মধ্যেই পিআইবি কাজ সীমাবদ্ধ নয়। এর আওতায় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এবং সাংবাদিকদের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। তৃণমূল সাংবাদিকদের বেলায় আবাসিক অনাবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে গোটা বাংলাদেশে পিআইবির উদ্যোগে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন হয়ে আসছে। পাশাপাশি জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ডেও অংশিদারিত্ব রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

এদিনের আয়োজনের ঢাকা জেলার ডেপুটি সিভিবল সার্জন জানান, এবার প্রায় ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তারা। আগামী ৫ থেকে ১৯ জুন দু’সপ্তাহব্যাপী এই ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এই সাংবাদিক বৈফক। সার্জন অফিসের সহযোগীতায় জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
সিভিল সার্জন অফিস আয়োজিত ও পিআইবির সহযোগীতায় সাংবাদিক বৈঠকে পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক কাজী গোলাম আহাদ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো. মহসিন মিয়া।
ডেপুটি সিভিল সার্জন মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, এবার ঢাকা জেলার ধামরাই, দোহার, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও সাভারের ৬৩টি ইউনিয়নে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৬১ হাজার ৯৬৫ জন ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ২৯ হাজার ৮২ জন শিশু রয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কোনো শিশু যাতে বাদ না যায় সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং করে জনসচেতনা কাজটি তাদের তরফে ফি বছরও ছিল। কভিডকালে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার বাদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রত্যেক ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই, আজকের শিশুরাই সেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আমাদেরকে একটি সুস্থ-সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। এক সময় আমরা রাত কানা সমস্যারটির সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। আজ তেমন একটা শোনা যায় না।
তার সবটাই সম্ভব হয়েছে সরকারের দূরদর্শি উদ্যোগের কারণে। বর্তমান সরকার শিশুদের শারীরিক প্রতিরোধ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায়। আর শিশুদের সুস্থতার জন্য যেসকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অন্যতম। এ বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শারমিন আহম্মেদ তিথি। তিনি বলেন, ৬-১১ মাস বয়সীদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এটি একটি জাতীয় কর্মসূচি। যেকোন ক্ষেত্রেই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্যাপসুল শুধুমাত্র অন্ধত্ব দূর করে এমন নয়।