ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা একুশশতকের বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত বাংলাদেশ শেখ হাসিনা’

রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সদা প্রস্তুতের কথা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ বার্তা দেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ এবং এ নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর তরুণ সদস্যরা ২১ শতকের বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

শেখ হাসিনা জানান, এই মুহূর্তে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ১২২টি দেশের ৮০ হাজার ১৮৪ জন শান্তিরক্ষীর মধ্যে ৬ হাজার ৭৪২ জন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী রয়েছেন। এই সংখ্যা বিশ্বে নিয়োজিত মোট শান্তিরক্ষীর ৮.৪০ শতাংশ। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশের ২৮৪ জন নারী শান্তিরক্ষী বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষীরা ৪০টি দেশে ৫৫টি ইউএন মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ৮টি মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত রয়েছে। দক্ষিণ সুদানে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল পদবীর কর্মকর্তা এবং কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও দক্ষিণ সুদানে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবীর কর্মকর্তা নিযুক্ত রয়েছেন। দক্ষতার কারণে তারা এসব উচ্চপদ পেয়েছেন।

রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি শান্তি রক্ষীদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং শান্তির সংস্কৃতি বিনির্মাণে অবদান রেখে চলেছে। সংঘাতপ্রবণ দেশসমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

আমাদের শান্তিরক্ষীরা যে মিশনেই গেছেন, সেখানে জাতিসংঘের পতাকাকে সমুন্নত ও উড্ডীন রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল করেছেন। এ কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সব শান্তিরক্ষীদের বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের বর্তমান পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামসহ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে, সে জন্য আমাদের সরকারের সব ধরনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা একুশশতকের বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত

আপডেট সময় : ০৭:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

‘বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত বাংলাদেশ শেখ হাসিনা’

রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সদা প্রস্তুতের কথা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ বার্তা দেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ এবং এ নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর তরুণ সদস্যরা ২১ শতকের বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

শেখ হাসিনা জানান, এই মুহূর্তে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ১২২টি দেশের ৮০ হাজার ১৮৪ জন শান্তিরক্ষীর মধ্যে ৬ হাজার ৭৪২ জন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী রয়েছেন। এই সংখ্যা বিশ্বে নিয়োজিত মোট শান্তিরক্ষীর ৮.৪০ শতাংশ। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশের ২৮৪ জন নারী শান্তিরক্ষী বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষীরা ৪০টি দেশে ৫৫টি ইউএন মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ৮টি মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত রয়েছে। দক্ষিণ সুদানে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল পদবীর কর্মকর্তা এবং কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও দক্ষিণ সুদানে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবীর কর্মকর্তা নিযুক্ত রয়েছেন। দক্ষতার কারণে তারা এসব উচ্চপদ পেয়েছেন।

রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি শান্তি রক্ষীদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং শান্তির সংস্কৃতি বিনির্মাণে অবদান রেখে চলেছে। সংঘাতপ্রবণ দেশসমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

আমাদের শান্তিরক্ষীরা যে মিশনেই গেছেন, সেখানে জাতিসংঘের পতাকাকে সমুন্নত ও উড্ডীন রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল করেছেন। এ কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সব শান্তিরক্ষীদের বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের বর্তমান পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামসহ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে, সে জন্য আমাদের সরকারের সব ধরনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।