ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এক মানবিক পিতা এরশাদ আলী মোড়লের গল্প আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস হাসিনা সরকারের করা হয়রানিমূলক ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে জুলাই আন্দোলনের পর জব্দ করা অর্থ জনকল্যানে ব্যয় করা হবে ভারতীয় দালালির চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়েছে আওয়ামী লীগ: মামুনুল হক ভারতের বড় যুদ্ধবিমান ঘুড়ির মতো ভেঙেছে পাকিস্তান গভীর রাতে ঢাকাসহ যে ১৫ অঞ্চলে বজ্র-বৃষ্টির আভাস বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির অভিযোগে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল গ্রেপ্তার ভারত থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির হাতে ১৭জন আটক ফারাক্কাই দায়ী: বরেন্দ্র অঞ্চল কারবালায় পরিণত : ফরিদা আখতার

সরকারের পতন ঘটাতে জামায়াতের সঙ্গে সখ্যতা ছিল মামুনুলের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মামুনুল হককে আদালতে নেওয়া হচ্ছে ছবি: সংগ্রহ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বর্তমান সরকারের পতনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের জন্য হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি বিশ্বাস করেন, বর্তমান সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কোন রাাজনৈতিক দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে আফগান ফেরত মুজাহিদ ও জামায়াত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে মামুনুল। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মামুনুল।

গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, হেফাজতের মধ্যে অন্যতম ‘উগ্রপন্থী’নেতা মামুনুল হক। তিনি যেকোনো মূল্যে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছেন। পরের দুই স্ত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক বলেছেন, তিনি পরের দুইজনকে বিয়ে করেননি।

তবে দু’জনই সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে মামুনুলের চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির কপিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দা পুলিশ। চুক্তিতে বলা হয়েছে, মামুনুল হক তাদের বিয়ে করবেন না। স্ত্রীর মর্যাদাও দেবেন না। তবে তাদের ভরণপোষণ দেবেন। এই শর্তে যে, তিনি স্ত্রীর মতো তাদের সঙ্গে মিশবেন। যেখানে যেতে বলবেন, সেখানে যেতে হবে এবং তার সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে হবে।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা আরও বলেন, মামুনুল হকের কাছে তারা জানতে চেয়েছিলেন, বিয়ে না করে কারো সঙ্গে চুক্তি করে থাকা যায় কি-না? জবাবে মামুনুল হক তাদের বলেছেন, এটি শরীয়ত সম্মত। তিনি স্ত্রীর মর্যাদা না দিলেও তাদের ভরণপোষণ দিচ্ছেন।

তার বিনিময়ে তারা তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন। এটা ইসলামের বিধিবিধানের মধ্যেই তিনি করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে যাওয়া তার ঠিক হয়নি। আর গেলেও আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে নেতাকর্মীদের জানিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল।

সরকারের পতনের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দাদের হেফাজত নেতা বলেন, ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করতে হলে এই সরকারের পতন ঘটাতেই হতো। আর এই সরকার পড়ে গেলে হেফাজতের অনুগ্রহ ছাড়া কেউ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারতো না।

এই কারণে তিনি রাজধানীর যেকোনো কর্মসূচিতে সহিংসতার উস্কানি দিতেন। তার মতে, হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর চেয়েও বেশি ‘উগ্রপন্থী’ তিনি। অন্য নেতাদের দিয়ে বিপ্লব হবে না। এই কারণে তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নানা আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরকারের পতন ঘটাতে জামায়াতের সঙ্গে সখ্যতা ছিল মামুনুলের

আপডেট সময় : ১১:০৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

মামুনুল হককে আদালতে নেওয়া হচ্ছে ছবি: সংগ্রহ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বর্তমান সরকারের পতনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের জন্য হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি বিশ্বাস করেন, বর্তমান সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কোন রাাজনৈতিক দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে আফগান ফেরত মুজাহিদ ও জামায়াত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে মামুনুল। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মামুনুল।

গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, হেফাজতের মধ্যে অন্যতম ‘উগ্রপন্থী’নেতা মামুনুল হক। তিনি যেকোনো মূল্যে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছেন। পরের দুই স্ত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক বলেছেন, তিনি পরের দুইজনকে বিয়ে করেননি।

তবে দু’জনই সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে মামুনুলের চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির কপিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দা পুলিশ। চুক্তিতে বলা হয়েছে, মামুনুল হক তাদের বিয়ে করবেন না। স্ত্রীর মর্যাদাও দেবেন না। তবে তাদের ভরণপোষণ দেবেন। এই শর্তে যে, তিনি স্ত্রীর মতো তাদের সঙ্গে মিশবেন। যেখানে যেতে বলবেন, সেখানে যেতে হবে এবং তার সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে হবে।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা আরও বলেন, মামুনুল হকের কাছে তারা জানতে চেয়েছিলেন, বিয়ে না করে কারো সঙ্গে চুক্তি করে থাকা যায় কি-না? জবাবে মামুনুল হক তাদের বলেছেন, এটি শরীয়ত সম্মত। তিনি স্ত্রীর মর্যাদা না দিলেও তাদের ভরণপোষণ দিচ্ছেন।

তার বিনিময়ে তারা তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন। এটা ইসলামের বিধিবিধানের মধ্যেই তিনি করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে যাওয়া তার ঠিক হয়নি। আর গেলেও আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে নেতাকর্মীদের জানিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল।

সরকারের পতনের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দাদের হেফাজত নেতা বলেন, ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করতে হলে এই সরকারের পতন ঘটাতেই হতো। আর এই সরকার পড়ে গেলে হেফাজতের অনুগ্রহ ছাড়া কেউ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারতো না।

এই কারণে তিনি রাজধানীর যেকোনো কর্মসূচিতে সহিংসতার উস্কানি দিতেন। তার মতে, হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর চেয়েও বেশি ‘উগ্রপন্থী’ তিনি। অন্য নেতাদের দিয়ে বিপ্লব হবে না। এই কারণে তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নানা আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন।