ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাস দমনে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ পাকিস্তান রইলো এফএটিএফ ধূসর তালিকায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৪০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিকী ছবি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

সন্ত্রাস দমন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ পাকিস্তান। তাই আপাতত সন্ত্রাসী কাজকর্মে অর্থনৈতিক জোগানের উপর নজরদারি চালানো সংগঠন ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর ধূসর তালিকাতেই থাকছে পাকিস্তান। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কতটা সক্রিয়, তা যাচাই করতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে বসেছিল সংগঠনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করতে যে যে পদক্ষেপ করা উচিত, তাতে পাকিস্তানের তরফে ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। তাদের গতিবিধির ওপর আগামী দিনেও বাড়তি নজরদারি চলবে। অর্থাৎ ধূসর তালিকা থেকে এখনই অব্যাহতি পাচ্ছে না পাকিস্তান।

২০১৮ সালের জুন মাসে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ। সেই সময় ইসলামাবাদকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, ২০১৯ শেষ হওয়ার আগে দেশের মাটিতে মাথাচাড়া দেওয়া সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির আর্থিক জোগান বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ শেষ হতে হতে কোভিডের প্রকোপে উদ্ভুত অতিমারি থাবা বসায় গোটা বিশ্বে। সেই জেরে পাকিস্তানকে দেওয়া সময়সীমার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়।

সম্প্রতি ভার্চুয়াল মাধ্যমে নতুন করে আলোচনা শুরু হলেও, সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি সংস্থার কেউই। যে কারণে এফএটিএফ-এর প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ার বলেন, সন্ত্রাসী কাজকর্মে আর্থিক জোগান বন্ধ করায় পাকিস্তানের তরফে খামতি রয়ে গিয়েছে। তাই আগামী দিনেও বাড়তি নজরদারি থাকবে তাদের ওপর।

সন্ত্রাস দমেন পাকিস্তানকে ২৭টি পয়েন্ট বেঁধে দিয়েছিল এফএটিএফ। তার মধ্যে বেশ কিছু পূরণ করতে পারলেও, ৩টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্তপূরণ অধরাই ধেকে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কাস। জানান, জাতিসংঘ দ্বারা ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে এখনও তেমন কড়া পদক্ষেপ করে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। তাদের দেওয়া সময়সীমার মেয়াদও পেরিয়েছে। কেন এই ঢিলেমি, কোথায়, কী সমস্যা হচ্ছে, তা যত শীঘ্র সম্ভব জানাতে হবে পাকিস্তানকে। সন্ত্রাসবাদীদের কড়া সাজা দিতে হবে সে দেশের আদালতকে। তবেই সন্ত্রাসদমনে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সন্ত্রাস দমনে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ পাকিস্তান রইলো এফএটিএফ ধূসর তালিকায়

আপডেট সময় : ০২:১৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

প্রতিকী ছবি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

সন্ত্রাস দমন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ পাকিস্তান। তাই আপাতত সন্ত্রাসী কাজকর্মে অর্থনৈতিক জোগানের উপর নজরদারি চালানো সংগঠন ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর ধূসর তালিকাতেই থাকছে পাকিস্তান। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কতটা সক্রিয়, তা যাচাই করতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে বসেছিল সংগঠনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করতে যে যে পদক্ষেপ করা উচিত, তাতে পাকিস্তানের তরফে ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। তাদের গতিবিধির ওপর আগামী দিনেও বাড়তি নজরদারি চলবে। অর্থাৎ ধূসর তালিকা থেকে এখনই অব্যাহতি পাচ্ছে না পাকিস্তান।

২০১৮ সালের জুন মাসে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ। সেই সময় ইসলামাবাদকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, ২০১৯ শেষ হওয়ার আগে দেশের মাটিতে মাথাচাড়া দেওয়া সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির আর্থিক জোগান বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ শেষ হতে হতে কোভিডের প্রকোপে উদ্ভুত অতিমারি থাবা বসায় গোটা বিশ্বে। সেই জেরে পাকিস্তানকে দেওয়া সময়সীমার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়।

সম্প্রতি ভার্চুয়াল মাধ্যমে নতুন করে আলোচনা শুরু হলেও, সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি সংস্থার কেউই। যে কারণে এফএটিএফ-এর প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ার বলেন, সন্ত্রাসী কাজকর্মে আর্থিক জোগান বন্ধ করায় পাকিস্তানের তরফে খামতি রয়ে গিয়েছে। তাই আগামী দিনেও বাড়তি নজরদারি থাকবে তাদের ওপর।

সন্ত্রাস দমেন পাকিস্তানকে ২৭টি পয়েন্ট বেঁধে দিয়েছিল এফএটিএফ। তার মধ্যে বেশ কিছু পূরণ করতে পারলেও, ৩টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্তপূরণ অধরাই ধেকে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কাস। জানান, জাতিসংঘ দ্বারা ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে এখনও তেমন কড়া পদক্ষেপ করে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। তাদের দেওয়া সময়সীমার মেয়াদও পেরিয়েছে। কেন এই ঢিলেমি, কোথায়, কী সমস্যা হচ্ছে, তা যত শীঘ্র সম্ভব জানাতে হবে পাকিস্তানকে। সন্ত্রাসবাদীদের কড়া সাজা দিতে হবে সে দেশের আদালতকে। তবেই সন্ত্রাসদমনে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকবে না।