ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ধূসর তালিকা থেকে সরছে না পাকিস্তানের নাম

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকা থেকে মুক্তি পায়নি পাকিস্তান। এফএটিএফ জানিয়ে দিয়েছে ২০১৮ সালে সন্ত্রাস দমনে যে ২৭টি শর্তপূরণ করতে বলা হয়েছিল পাকিস্তানকে, তার মধ্যে ২৬টি পূরণ করছে পাকিস্তান। একটি এখনো বাকি রয়েছে। তাই ধূসর তালিকাতেই থাকতে হবে তাদের।

স্বাভাবিকভাবেই এমন সিদ্ধান্তে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ইমরান খান প্রশাসন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে এখনো ধূসর তালিকায় রেখে দেওয়ার  কোনো অর্থ নেই।

মাহমুদ কুরেশি বলছেন, কেবল ধূসর তালিকা থেকে বেরুনোর জন্যই নয়, পাকিস্তান গত ২ বছরে অর্থ তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতের বিষয়ে যা পদক্ষেপ করেছে, সবই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে। এবং যেখানে ২৭টির মধ্যে ২৬টি শর্তই ইতিমধ্যে পূরণ করেছে ইসলামাবাদ, তারপরও তাদের ধূসর তালিকায় রেখে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

তার অভিযোগ ‘অন্য কোনো শক্তি’র প্রভাবেই পাকিস্তানকে ওই তালিকা থেকে বেরুতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, তাঁর সংশয় হচ্ছে এফএটিএফ কোনো প্রযুক্তিগত সংস্থা নাকি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

তার অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই পাকিস্তানকে এখনোও ওই তালিকাভুক্ত করে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুন মাসে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয় ইমরান খানের দেশকে। সেই সঙ্গে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৯

সালের মধ্যে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে অ্যাকশন প্ল্যানগুলি মেনে চলতে। পরে করোনা পরিস্থিতিতে এই ডেডলাইন পরে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু প্যারিস স্থিত এফএটিএফ-এর একের পর এক বৈঠকের পরও কাটেনি বিপদ। ধূসর তালিকা থেকে আর বেরুনো হয়নি ইসলামাবাদের।  সংস্থাটি বলছে, একটি শর্ত এখনো বাকি রয়েছে।

আর সেই শর্ত হল, জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ, সংগঠনের কমান্ডার জাকিউর রহমান লকভি এবং জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের মতো কুখ্যাত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এত বছরেও তা করে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ধূসর তালিকা থেকে সরছে না পাকিস্তানের নাম

আপডেট সময় : ১২:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকা থেকে মুক্তি পায়নি পাকিস্তান। এফএটিএফ জানিয়ে দিয়েছে ২০১৮ সালে সন্ত্রাস দমনে যে ২৭টি শর্তপূরণ করতে বলা হয়েছিল পাকিস্তানকে, তার মধ্যে ২৬টি পূরণ করছে পাকিস্তান। একটি এখনো বাকি রয়েছে। তাই ধূসর তালিকাতেই থাকতে হবে তাদের।

স্বাভাবিকভাবেই এমন সিদ্ধান্তে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ইমরান খান প্রশাসন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে এখনো ধূসর তালিকায় রেখে দেওয়ার  কোনো অর্থ নেই।

মাহমুদ কুরেশি বলছেন, কেবল ধূসর তালিকা থেকে বেরুনোর জন্যই নয়, পাকিস্তান গত ২ বছরে অর্থ তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতের বিষয়ে যা পদক্ষেপ করেছে, সবই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে। এবং যেখানে ২৭টির মধ্যে ২৬টি শর্তই ইতিমধ্যে পূরণ করেছে ইসলামাবাদ, তারপরও তাদের ধূসর তালিকায় রেখে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

তার অভিযোগ ‘অন্য কোনো শক্তি’র প্রভাবেই পাকিস্তানকে ওই তালিকা থেকে বেরুতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, তাঁর সংশয় হচ্ছে এফএটিএফ কোনো প্রযুক্তিগত সংস্থা নাকি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

তার অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই পাকিস্তানকে এখনোও ওই তালিকাভুক্ত করে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুন মাসে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয় ইমরান খানের দেশকে। সেই সঙ্গে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৯

সালের মধ্যে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে অ্যাকশন প্ল্যানগুলি মেনে চলতে। পরে করোনা পরিস্থিতিতে এই ডেডলাইন পরে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু প্যারিস স্থিত এফএটিএফ-এর একের পর এক বৈঠকের পরও কাটেনি বিপদ। ধূসর তালিকা থেকে আর বেরুনো হয়নি ইসলামাবাদের।  সংস্থাটি বলছে, একটি শর্ত এখনো বাকি রয়েছে।

আর সেই শর্ত হল, জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ, সংগঠনের কমান্ডার জাকিউর রহমান লকভি এবং জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের মতো কুখ্যাত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এত বছরেও তা করে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।