সচিবালয়-পুলিশে ফ্যাসিস্ট দোসররা ঘাপটি মেরে আছে

- আপডেট সময় : ০৮:২২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে বসে পরিকল্পিতভাবে আমাদের অভ্যুত্থানকে নস্যাতের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা চুপচাপ শুধু দেখেই যাচ্ছেন। দেশের পরিস্থিতি এভাবে চলতে পারে না। আমরা অবিলম্বে সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোকে হাসিনার দোসরমুক্ত দেখতে চাই
সচিবালয় আর পুলিশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। তাদের সরানোর আল্টিমেটাম দিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ছাত্র-জনতা আসতে থাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
দুপুরের গড়িয়ে বিকাল নামতেই শহীদ মিনারে জনস্রোত। শহীদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিণ্নি পথগুলোতে তখন পা রাখার জায়গা নেই। স্লোগানে স্লোগনে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত। জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর দ্বিতীয়বার লক্ষ্য করা গেলো এই মানব মিছিল।
মঙ্গলবার শহীদ মিনারে মার্চ ফর ইউনিটি মঞ্চ থেকে উচ্চারণ, হাসিনার দোসররা এখনো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে বসে পরিকল্পিতভাবে আমাদের অভ্যুত্থানকে নস্যাতের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা চুপচাপ শুধু দেখেই যাচ্ছেন। দেশের পরিস্থিতি এভাবে চলতে পারে না। আমরা অবিলম্বে সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোকে হাসিনার দোসরমুক্ত দেখতে চাই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে এখনো খুনির দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। সচিবালয় হোক বা যেকোনো জায়গা থেকে ষড়যন্ত্র করলে আমরা তাদের উৎখাত করে ছাড়বো।
এসময় সারজিস বলেন, গোপালগঞ্জে এখনো কীভাবে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা হয়? যদি আমাদের নিরাপত্তা না দিতে পারেন, তাহলে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে আপনাদের আর বসিয়ে রাখবো না। আমরা দেখছি ছাত্রলীগ যুবলীগ এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। তারা আমাদের আহতদের দেখে মুচকি হাসে। আমরা যদি বিচার করতে না পারি, তাহলে শহীদের আত্মাকে আমাদের জবাব দেওয়ার কিছু থাকবে না।
সারজিস আলম বলেন, আমরা দেখছি দেশের প্রতিটি জায়গায় পূর্বের মতোই সিন্ডিকেট রয়ে গেছে। এগুলো আমাদেরকে ভাঙতে হবে। কেন এখনো শুনবো একহাত থেকে আরেক হাতে সিন্ডিকেট স্থানান্তর হচ্ছে। কেন সেই হাতগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে না?
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি সচিবালয়ের ভেতরে দালালগুলো ঘাপটি মেরে আছে। পুলিশ প্রশাসনের অসংখ্য দালাল ঘাপটি মেরে আছে। এই জায়গাগুলো দ্রুত দালালমুক্ত করুন।
হাসিনা সরকারের পতনের ৫ মাস পার হয়েছে। কিন্তু এখনো জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আমরা দেখতে পাইনি। এই বিপ্লবের স্বীকৃতি আমরা চাই। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দ্রুততম সময়ে আমরা দেখতে চাই।