ছবি সংগ্রহ
করোনা অতিমারি প্রতিরোধে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চলে আসছে। ঈদকে সামনে রেখে শিথিলের সাতদিন পর ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।
দেশে যখন ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ষোলমাসের সর্বোচ্চ ২৪৭ জনের মৃত্যু এবং ১৫ হাজার ১৯২ জনের আক্রান্ত বার্তা দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তখন কঠোর বিধিনিষেধ এবং টিকাদান জোরদার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রে খবর, বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তথ্য যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক,
নির্বাচন কমিশনের সচিব, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকের কার্যসূচিতে বিধিনিষেধ কার্যক্রম পরিচালনা ও টিকাদান জোরদার বিষয়ে আলোচনা হবে।
সর্বোচ্চ মৃত্যু
করোনার শনাক্তর পর দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল সোমবার। এদিন মৃত্যু হয়েছে ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৩১। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৫২১ জনে।
একই সময়ে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড ১৫ হাজার ১৯২ জন। এনিয়ে মোট শনাক্তর সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানায়।
অধিদফতর জানায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থতার সংখ্যা ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন। এসময়ে ৫০ হাজার ৯৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯
দশমিক ৮২ শতাংশ। এর আগে রবিবার করোনায় ২২৮ জনের মৃত্যু হয়। নতুন করে শনাক্ত হন ১১ হাজার ২৯১ জন।
মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪১ জন আর নারী ১০৬ জন। বিভাগ ভিত্তিক প্রাণহানির হিসাবে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৭২ জন মারা গেছেন।
এছাড়া চট্টগ্রামে ৬১ জন, খুলনায় ৪৬ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, রংপুরে ১৬ জন, সিলেটে ১৪ জন, বরিশালে ১২ এবং ময়মনসিংহে ৫ জন মারা গেছেন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হলেও তা পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় উপচে পড়া ভিড়।
এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরেও কেউ শয্যা পাচ্ছে না। আর আইসিইউ শয্যা পাওয়া তো সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা পরীক্ষা করাতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
হাসপাতালগুলোয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে পরীক্ষা করাতে না-পেরে ফিরে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে।