শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় জন কেরি
- আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১ ২১১ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেনিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে স্বাগাত জানান বাংলাদেশের বিশেষ মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ছবি: বিদেশমন্ত্রক
ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
দিনক্ষণ আগেই ঠিক করা ছিল। সে অনুযায়ী ঢাকায় পা রাখলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। শুক্রবার ঘণ্টা কয়েকের সফরে ঢাকায় আসেন তিনি।
বিদেশমন্ত্রক সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কয়েক ঘণ্টার সফরে ঢাকায় পৌছেন। মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে জলবায়ুবিষয়ক ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি থেকে ঢাকায় এসেছেন জন কেরি।
ঢাকার কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, হোয়াইট হাউসের নতুন প্রশাসনের কোনো প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। দিল্লি থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর বিশেষ একটি উড়োজাহাজে জন কেরি ঢাকায় পৌঁছান।
সাবেক মার্কিন বিদেশমন্ত্রী জন কেরি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। বিকেল চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করবেন। ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে জো বাইডেনের দেওয়া লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন গত ২৭ জানুয়ারি ঘোষণা দিয়েছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে তিনি একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন। ২২ ও ২৩ এপ্রিল ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারতসহ ৪০টি দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ঢাকার কূটনীতিকেরা বলছেন, জন কেরির সংক্ষিপ্ত সফরের মূল বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন। তবে প্রাসঙ্গিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানসহ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসতে পারে।
বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তাঁর প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি বাংলাদেশে এলেন। তাঁরা প্রত্যাশা জন কেরির সফর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখবে।