শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি লাখো মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা
- আপডেট সময় : ০৬:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বৃহস্পতিবার রায়েরবাজার ও মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানায় লাখো মানুষ। বিজয় দিবসের মাত্র দু’দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ঢাকার মিরপুর ও রায়েরবাজারে মরদেহ ফেলে রাখা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
জ্ঞান-মেধার আলোবর্তিকা অমর সূর্যসন্তানদের হারানোর বেদনাময় রক্তস্নাত দিনে, শিশিরভেজা শীতের সকালে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের স্মরণ করতে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। সারিবদ্ধভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। কাতারে কাতারে মানুষ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা শ্রদ্ধায়। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে রায়ের বাজার ও মিরপুর বদ্ধভূমি।
জামায়াতে ইসলামী ও তার দোসরদের শাস্তি এবং বুদ্ধিজীবী দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি ওঠে। রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেক্টর কমান্ডার ফোরামের মহাসচিব ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব বলেন, বাংলাদেশের মহান বিজয়ের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর রক্তের যে সম্পর্ক রয়েছে তা রক্ষা করবে বাঙালি।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীয় মর্যাদা আর শ্রদ্ধায় নত হয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের স্মরণ করছে বাঙালি। দিবস উপলক্ষে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এরপর শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ণ কমাণ্ডের কাছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনের দু’দিন আগে ঢাকায় বুদ্ধিজীবীদের নিধনে নামে কুখ্যাত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তার দোসর জামায়াতে ইসলামী, রাজাকার আলসামস নরঘাতকরা। জাতির সূর্য সন্তানদের হত্যার পর রায়ের বাজার ও মিরপুরে বদ্ধভূমি মরদেহ ফেলে রাখা হয়। অনেকের খোঁজ আজও মেলেনি।
প্রতি বছরের ন্যায় রায়ের বাজারে প্রতিকী বদ্ধভূমির আয়োজন করে কেন্দ্রীয় খেলাঘর শিশু-কিশোর সংগঠন। এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় এমপি পদ প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গির কবীর নানক। তিনি বলেন, ৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর জামায়াতে ইসলামীরা।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা বেশিরভাগ মানুষই শোকের প্রতীক কালো পোশাক পরে দলে হাজির হন। তাদের হাতে ফুলের তোড়াসহ ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়। দিবসটি উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।