ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শততম ম্যাচে বাংলাদেশের বিশাল জয়

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১ ২১৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ইতিগড়ার পালা

দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈম হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বিশাল ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের শততম ম্যাচটি উৎসবের রঙে রাঙানোর উপলক্ষও পেল টাইগাররা’

কাকতালীয়ভাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০০৬ সালে শাহরিয়ার নাফিসের নেতৃত্বে ম্যাচটি ৪৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজকের ম্যাচটি খেলতে

নেমে নতুন এক কীর্তি গড়েছেন সাকিব আল হাসানও। টি-টোয়েন্টিতে দলের প্রথম ও শততম ম্যাচ খেলা বাংলাদেশি প্রথম খেলোয়াড় তিনি।

দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈম হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বিশাল ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের শততম ম্যাচটি উৎসবের রঙে রাঙানোর উপলক্ষও পেল টাইগাররা।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃহস্পতিবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেওয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের পতাকা উড়ায় হারারেতে।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈমের ব্যাটে ছিলেন দারুণ। শুরুতে কিছুটা সাবধানীও ছিলেন তারা। কিন্তু চতুর্থ ওভারে এনগ্রাভার বলে তিন চার মেরে খোলস ছেড়ে

বেরিয়ে আসেন নাঈম। ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন সৌম্যও। দুই ওপেনারের সাবধানী ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে ৪৩ রান তোলে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৬ রানে।

সৌম্য একসময় হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। কিন্তু সিঙ্গেল নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। বিদায়ের আগে চার

বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৫ বলে ঠিক ৫০ রান করেন সৌম্য। প্রথম উইকেট হারানোর আগেই বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

সৌম্যর পর ক্রিজে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এসেই বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পরে একবার নিজে এবং আরেকবার নাঈমকে রান আউটের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দুই বার কোনো বিপদ না ঘটলেও তৃতীয়বার মুজারাবানির সরাসরি থ্রোয়ে ব্যক্তিগত ১৫ রানে

নিজেই রান আউট হয়ে ফেরেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ধীরে ধীরে চাপ বাড়তে থাকে বাংলাদেশের ওপর।

শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৭ রান। এনগ্রাভার ১৮তম ওভারে নাঈম ও নুরুল হাসান সোহান মিলে তোলেন ১৬ রান তোলায় লক্ষ্য টাইগারদের হাতের মুঠোয়।

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই লক্ষ্য ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এনে ফেলেন সোহান। এরপর ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নাঈম। এই বাঁহাতি ওপেনার ৫১

বলে ৬৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। আর সাড়ে চার বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা সোহান অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ১ ছক্কা ও ১ চারে ১৬ রানের ক্যামিও খেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শততম ম্যাচে বাংলাদেশের বিশাল জয়

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১

বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ইতিগড়ার পালা

দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈম হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বিশাল ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের শততম ম্যাচটি উৎসবের রঙে রাঙানোর উপলক্ষও পেল টাইগাররা’

কাকতালীয়ভাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০০৬ সালে শাহরিয়ার নাফিসের নেতৃত্বে ম্যাচটি ৪৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজকের ম্যাচটি খেলতে

নেমে নতুন এক কীর্তি গড়েছেন সাকিব আল হাসানও। টি-টোয়েন্টিতে দলের প্রথম ও শততম ম্যাচ খেলা বাংলাদেশি প্রথম খেলোয়াড় তিনি।

দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈম হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বিশাল ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের শততম ম্যাচটি উৎসবের রঙে রাঙানোর উপলক্ষও পেল টাইগাররা।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃহস্পতিবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেওয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের পতাকা উড়ায় হারারেতে।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈমের ব্যাটে ছিলেন দারুণ। শুরুতে কিছুটা সাবধানীও ছিলেন তারা। কিন্তু চতুর্থ ওভারে এনগ্রাভার বলে তিন চার মেরে খোলস ছেড়ে

বেরিয়ে আসেন নাঈম। ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন সৌম্যও। দুই ওপেনারের সাবধানী ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে ৪৩ রান তোলে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৬ রানে।

সৌম্য একসময় হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। কিন্তু সিঙ্গেল নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। বিদায়ের আগে চার

বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৫ বলে ঠিক ৫০ রান করেন সৌম্য। প্রথম উইকেট হারানোর আগেই বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

সৌম্যর পর ক্রিজে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এসেই বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পরে একবার নিজে এবং আরেকবার নাঈমকে রান আউটের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দুই বার কোনো বিপদ না ঘটলেও তৃতীয়বার মুজারাবানির সরাসরি থ্রোয়ে ব্যক্তিগত ১৫ রানে

নিজেই রান আউট হয়ে ফেরেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ধীরে ধীরে চাপ বাড়তে থাকে বাংলাদেশের ওপর।

শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৭ রান। এনগ্রাভার ১৮তম ওভারে নাঈম ও নুরুল হাসান সোহান মিলে তোলেন ১৬ রান তোলায় লক্ষ্য টাইগারদের হাতের মুঠোয়।

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই লক্ষ্য ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এনে ফেলেন সোহান। এরপর ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নাঈম। এই বাঁহাতি ওপেনার ৫১

বলে ৬৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। আর সাড়ে চার বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা সোহান অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ১ ছক্কা ও ১ চারে ১৬ রানের ক্যামিও খেলে।