শক্ত করে হাত ধরা-হাতে হাতে রানিবালা

- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪০ বার পড়া হয়েছে

আমিনুল হক
সালটা মনে নেই। তবে, বেশ কতগুলো বছর যে গত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাতে কি, আজও তার সঙ্গে আমার আত্মীক যোগ। মনে করলেই স্পষ্ট দেখা পাই। মনে মনে কথাও হয়। তার বানিবালা খন্ডচিত্রের সঙ্গেও আমার পরিচয়। সেই রানিবালা এখন পূর্ণতায় হাজির। সে ঘুরে বেড়াচ্ছে মালদার ৩৬তম বইমেলা এবং আশপাশের এলাকায় শত মানুষের সঙ্গী হয়ে।
সময়টা না বর্ষা না গ্্রীষ্ম। এমন এক সন্ধ্যায় ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রদীপ হাতে নিয়ে এসেছিলো সে। যে প্রদীপের আলোয় আজ রানিবালা সৃষ্টির দুঃসাহ দেখিয়েছে। কলকাতার আরও ক’জন কবি-লেখক তার সঙ্গী। প্রাণ উজার করা হাসি দিয়ে সে দিন বলেছিলো-এই ধরলাম তোমার হাত। এই হাত কোন দিন যেন ছাড়া না হয় বন্ধু। এযেন ভুবনজয়ী কথা। সে সন্ধ্যায় পুড়ি-সিঙ্গারা, মুড়ি মাখা, চা খাওয়ার সঙ্গী দীর্ঘ আড্ডা।
তারপর চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী হয়ে রানিবালার ঠিকানা মালদা। এরমধ্যে পদ্মা, মেঘনা, মহানন্দায় কতো জল গড়িয়েছে। বর্ষায় অথৈ জল হলেও গ্রীষ্মের বলি চাষাবাদের জমি। ঘুর্ণিঝড়, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী রানিবালা। ঈশ্বরপ্রেম আর মানুষের ভালোবাসার বন্দনায় পাখি হয়ে উড়ে বেড়িয়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়েছে রানিবালা।
হৃদমন্দিরের কুঠরিতে ভালোবাসার নদীটায় জল কমেছে। তা থেকেই চাষাবাদের জমিতে জল দিতে হবে যে-রানিবালার সে কি আকুতি। কোন বটতলায় ধ্যানী যুগী তার হিসাব কে রাখে। মহানন্দার তীরের মানুষগুলোর জীবনযাত্রার উন্নয়ন ভাবনায় রানিবালা।
সব মিলিয়ে সফল লেখক শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস এখন বেশ উৎফুল্ল। কারণ, তার নবাগত রানিবালা মানুষের হাতে হাতে। তার অনুভূতি ‘সৃষ্টির উল্লাসে বোধের জাগরণ ঘটিয়ে যে যায়, তিনি মহারানী, রানিবালা। কাছাকাছি হওয়া গেলেও সবসময়ের জন্য ধরে রাখা খুব মুশকিল রানিবালাকে’। মালদা জেলা ৩৬তম বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে উড়ান প্রকাশনীর ১১২ নম্বর স্টলে।