ছবি সংগ্রহ
বুধবার ২০১ জনের মৃত্যু এবং ১১হাজার ১৬২ জনের মৃত্যুর পর দিনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় লোকসমাগম বেড়েছে। রোজগারের তাগিদে এসব মানুষকে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসার কথা বলছেন তারা। রিকশার চলাচলের পাশাপাশি ব্যক্তিগ যানবাহন এবং জরুরী সেবা ও পণ্য পরিবহনে নিযুক্ত যানবাহনের আধিক্য দেখা গেছে রাস্তায়।
ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবশ্য বৃষ্টির মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী এবং আনসার সদস্যদের। পরিচালনা করা হচ্ছে মোবাইল কোর্টও। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা চালু রয়েছে।
এ কারণে ঘর ছেড়ে প্রতিনিয়ত কর্মস্থলে ছুটছে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষগুলোকে। এক্ষেত্রে গণপরিবহন না থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশাসহ বিকল্প উপায়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
কোন কোন স্থানে অনেকটা বাধাভাবেই চলছে এসব ব্যক্তিগত গাড়ি। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলেও যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। যেসব এলাকায় বিশেষ অভিযান চলছে না, সেখানে এসব ব্যক্তিগত গাড়ি, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচলে কোনো ধরনের বাধা পেতে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার লকডাউনের অষ্টম দিন রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, গণপরিবহন না চললেও আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবহন অনেক বেড়েছে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যা লকডাউনের প্রথম সাতদিনের চেয়ে বেশি।
মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলাচলও বেড়েছে। রামপুরা থেকে মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন, মতিঝিল এলাকায়ও একই দৃশ্য দেখা গেছে।
বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা যায়, ছোট-বড় প্রতিটি গাড়িকেতই চেকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে যেতে দেওয়া হচ্ছে, অন্যথায় মামলা করা হচ্ছে। ফলে রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। শুধু গণভবন চেকপোস্টেই নয়, রাজধানীর রাসেল স্কয়ার, কল্যাণপুর ও গাবতলী চেকপোস্টেও একই অবস্থা দেখা গেছে।