ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউনের মধ্যেই বুধবার থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলবে গণপরিবহন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ সরকার ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনেই ছিল ছুটির আমেজ। গণপরিবহন ছাড়া সব ধরণের পরিবহন চলাচল করেছে। দ্বিতীয় এর সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। রাস্তায় বেড়িয়ে মনেই হয়নি লকডাউন বলে কোন একটা কঠিন ব্যবস্থা বিদ্যমান।

এমন অবস্থায় বুধবার থেকে দেশের সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোয় গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠকে এসে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানান, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে এই ঘোষণা আসলো সরকারের তরফে। কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই ঢাকার রাজপথে পথে গণপরিবহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। প্রথম দিন থেকেই ছিল ছুটির আমেজ।

লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচলের সরকারী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রতি ট্রিপের শুরু এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও সাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার গণপরিবহনে চলাচলের শর্ত শিথিল করেছে।

তবে এক্ষত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত অর্থাৎ সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দিয়েছে, এর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের। দূরপাল্লায় গণপরিবহন এখনই চলছে না। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহন মালিক- শ্রমিক ও যাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে গত বুধবার অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস-মিনিবাস চলাচলের নির্দেশনা দেয় সরকার।

কিন্তু গত সোমবার থেকে লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। আগামীকাল থেকে আবারও সীমিত আকারে শহর এলাকায় বাস-মিনিবাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধই থাকছে।

এর আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মানুষকে জোর করে ঘরে রাখার চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন তারা। মানুষ যেন কিছুদিন লকডাউন মেনে চলে এ লক্ষেই এগুনো হচ্ছে। এসময় সাম্প্রিতিক কিছু নৈরাজ্যকর ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যেই অপরাধ করবে, তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু এবং ৭ হাজার ২১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জনে। এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

লকডাউনের মধ্যেই বুধবার থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলবে গণপরিবহন

আপডেট সময় : ০৭:৪০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ সরকার ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনেই ছিল ছুটির আমেজ। গণপরিবহন ছাড়া সব ধরণের পরিবহন চলাচল করেছে। দ্বিতীয় এর সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। রাস্তায় বেড়িয়ে মনেই হয়নি লকডাউন বলে কোন একটা কঠিন ব্যবস্থা বিদ্যমান।

এমন অবস্থায় বুধবার থেকে দেশের সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোয় গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠকে এসে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানান, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে এই ঘোষণা আসলো সরকারের তরফে। কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই ঢাকার রাজপথে পথে গণপরিবহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। প্রথম দিন থেকেই ছিল ছুটির আমেজ।

লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচলের সরকারী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রতি ট্রিপের শুরু এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও সাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার গণপরিবহনে চলাচলের শর্ত শিথিল করেছে।

তবে এক্ষত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত অর্থাৎ সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দিয়েছে, এর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের। দূরপাল্লায় গণপরিবহন এখনই চলছে না। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহন মালিক- শ্রমিক ও যাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে গত বুধবার অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস-মিনিবাস চলাচলের নির্দেশনা দেয় সরকার।

কিন্তু গত সোমবার থেকে লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। আগামীকাল থেকে আবারও সীমিত আকারে শহর এলাকায় বাস-মিনিবাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধই থাকছে।

এর আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মানুষকে জোর করে ঘরে রাখার চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন তারা। মানুষ যেন কিছুদিন লকডাউন মেনে চলে এ লক্ষেই এগুনো হচ্ছে। এসময় সাম্প্রিতিক কিছু নৈরাজ্যকর ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যেই অপরাধ করবে, তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু এবং ৭ হাজার ২১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জনে। এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে।