ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লকডাউনের পথে ভারত সীমান্তবর্তী সাত জেলা

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দফায় দফায় দু’দেশের সীমান্ত বন্ধ রেখেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কবল থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভ্যারিয়েন্টের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। মারা গিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।

রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত প্রায় ৮জন। তারা সবাই ভারত ফেরত। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রুখতে ভারতের সীমান্তবর্তী নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা এই সাত জেলা কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪ জুন পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, অবাদে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে আসা। করোনা পরীক্ষার সনদ ছাড়াই ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থলসীমান্তে আসছে এবং পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দিনের পর দিন বন্দরে অপেক্ষার সময় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

হিলি স্থল বন্দরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে, প্রায় শ’ দুয়েক ট্রাক। এতে বন্দর এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছড়াচ্ছে। ভারতীয় ট্রাকের চালক, হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। জানা গিয়েছে, তাদের অধিকাংশেরই করোনা সনদ নেই।

এমনি ভাবে বিভিন্ন স্থল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ফ্রি স্টাইল চলাফেরার কারণে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কবল থেকে রক্ষাপেতে স্থল সীমান্ত বন্ধ ফের ১৪ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে টানা স্থলসীমান্ত দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়ত বন্ধ রয়েছে। সে সময় বিদেশমন্ত্রী দুই সপ্তাহ সীমান্ত বন্ধ থাকার কথা জানালেও পরবর্তীতে দফায় দফায় স্থল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম ছিল, তাদেরকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারিন্টের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

লকডাউনের পথে ভারত সীমান্তবর্তী সাত জেলা

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

দফায় দফায় দু’দেশের সীমান্ত বন্ধ রেখেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কবল থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভ্যারিয়েন্টের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। মারা গিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।

রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত প্রায় ৮জন। তারা সবাই ভারত ফেরত। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রুখতে ভারতের সীমান্তবর্তী নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা এই সাত জেলা কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪ জুন পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, অবাদে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে আসা। করোনা পরীক্ষার সনদ ছাড়াই ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থলসীমান্তে আসছে এবং পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দিনের পর দিন বন্দরে অপেক্ষার সময় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

হিলি স্থল বন্দরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে, প্রায় শ’ দুয়েক ট্রাক। এতে বন্দর এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছড়াচ্ছে। ভারতীয় ট্রাকের চালক, হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। জানা গিয়েছে, তাদের অধিকাংশেরই করোনা সনদ নেই।

এমনি ভাবে বিভিন্ন স্থল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ফ্রি স্টাইল চলাফেরার কারণে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কবল থেকে রক্ষাপেতে স্থল সীমান্ত বন্ধ ফের ১৪ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে টানা স্থলসীমান্ত দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়ত বন্ধ রয়েছে। সে সময় বিদেশমন্ত্রী দুই সপ্তাহ সীমান্ত বন্ধ থাকার কথা জানালেও পরবর্তীতে দফায় দফায় স্থল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম ছিল, তাদেরকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারিন্টের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়।