জলমগ্ন রোহিঙ্গা শিবির ছবি সংগ্রহ
ভারী বর্ষণ মানেই পার্বত্য অঞ্চলের জন্য এক ভীতির বার্তা। পাহাড় ধস নিত্যঘটনায় পরিণত হয়। চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির পাহাড় যেন অলিখিত জমদূত! এবারেও ঘটে গেল অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অতিবর্ষণে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধস ও জলে ভেসে
গিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন দু’জন। মঙ্গলবার ভরদুপুরে উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ঘটনা।
মৃতরা ব্যক্তিরা হচ্ছে, বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের জি-৩৭ ব্লকের নুর মোহাম্মদের মেয়ে নুর নাহার (৩০), শাহা আলমের ছেলে শফিউল আলম (১২), জি-৩৮ ব্লকের ইউসুফের স্ত্রী দিল বাহার (২৪) ও তাদের দুই সন্তান আব্দুর রহমান (৪) ও আয়েশা সিদ্দিকা (২) এবং পালংখালী
শিবিরের ১৮-এ জলে ভেসে গিয়ে দিল বাহার নামে এক শিশুর মৃত্যু ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দোজা নয়ন।
পাহাড় ধস
শামসুদ্দোজা বলেন, সকাল থেকে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরের শতাধিক ঘর ডুবে গেছে। বৃষ্টির সময়
পাহাড় ধসে ১০ নম্বর শিবিরের শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জলের স্রোতে ভেসে গেছে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিবির ডুবে গেছে। তবে সেখানে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া মেলেনি। উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল থেকে টানা বর্ষণে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী, পোকখালী,
ভারুয়াখালী, গোমাতলী, ঈদগাঁও, ইসলাম, পেকুয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, উখিয়ার জালিয়াপাড়া, ইনানী, টেকনাফের সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, লঘুচাপের কারণে সাগরে জোয়ারের জল ৩-৪ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন বলেন, ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত শিশুসহ ছয় জনের মৃত্যুর খবর তারা নিশ্চিত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে।