ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ২৯ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দাগী অপরাধী আরসা কমাণ্ডারসহ ধৃত ৪, অস্ত্র গোলাবারুদ জব্দ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নেতা ও গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছাকে (২৭) ৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে, এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জব্দ করেছে বিশেষ বাহিনীটি।

র‌্যাব বলছে, ধৃতদের কাছ থেকে ৪৩ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৭টি গুলি উদ্ধার হয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলীর গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সেখানে র‌্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আল মঈন উপস্থিত থেকে এসব তথ্য জানান।

এসময় তিনি জানান, তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলী গহীন পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাব ভিত্তিতে মো. শফিক ও মো. সিরাজ নামের দুই বাংলাদেশী নাগরিককে আটক আটক করে।

ছবি সংগ্রহ

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ কেজি ৫৩০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। একই তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে আটক হয় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মীর শীর্ষ কমান্ডার ও উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা এবং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসু।

আটকদের আস্তানা থেকে উদ্ধার হয় ৩৬ কেজি ৭৮০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। উদ্ধার করা বিস্ফোরক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ক্লোরেটস, ব্রোমোটস, পটাশিয়াম ও হেক্সামিথাইলিন টেট্রামাইন জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য। এসব রাসায়নিক দ্রব্য গান পাউডার বা উচ্চ বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহারের নজির রয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঈন জানান , ধৃতদের মধ্যে রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা ও শামছুল আলম ওরফে শামসু আরসা’র শীর্ষ নেতা এবং অপর বাংলাদেশি দুই নাগরিক ও আরসা’র সন্ত্রাসী দলের সহযোগী।

আরসা সন্ত্রাসীরা বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটন করতো। তারা পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালান করতো।

গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নাগরিক শফিক ও সিরাজ উদ্ধার করা বিস্ফোরক কৌশলে সীমান্ত এলাকা দিয়ে এনে নিজেদের হেফাজতে রাখতো এবং পরে সুবিধাজনক সময়ে আরসা সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করে আসছিল।

অভিযানে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকদ্রব্যের মাধ্যমে বোমা প্রস্তুত করে আধিপত্য বিস্তারের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সংঘাতে ব্যবহার করার উদ্দেশে মজুদের কবুল করেছে সন্ত্রাসীরা।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দাগী অপরাধী আরসা কমাণ্ডারসহ ধৃত ৪, অস্ত্র গোলাবারুদ জব্দ

আপডেট সময় : ১০:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নেতা ও গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছাকে (২৭) ৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে, এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জব্দ করেছে বিশেষ বাহিনীটি।

র‌্যাব বলছে, ধৃতদের কাছ থেকে ৪৩ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৭টি গুলি উদ্ধার হয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলীর গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সেখানে র‌্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আল মঈন উপস্থিত থেকে এসব তথ্য জানান।

এসময় তিনি জানান, তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলী গহীন পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাব ভিত্তিতে মো. শফিক ও মো. সিরাজ নামের দুই বাংলাদেশী নাগরিককে আটক আটক করে।

ছবি সংগ্রহ

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ কেজি ৫৩০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। একই তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে আটক হয় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মীর শীর্ষ কমান্ডার ও উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা এবং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসু।

আটকদের আস্তানা থেকে উদ্ধার হয় ৩৬ কেজি ৭৮০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। উদ্ধার করা বিস্ফোরক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ক্লোরেটস, ব্রোমোটস, পটাশিয়াম ও হেক্সামিথাইলিন টেট্রামাইন জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য। এসব রাসায়নিক দ্রব্য গান পাউডার বা উচ্চ বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহারের নজির রয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঈন জানান , ধৃতদের মধ্যে রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা ও শামছুল আলম ওরফে শামসু আরসা’র শীর্ষ নেতা এবং অপর বাংলাদেশি দুই নাগরিক ও আরসা’র সন্ত্রাসী দলের সহযোগী।

আরসা সন্ত্রাসীরা বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটন করতো। তারা পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালান করতো।

গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নাগরিক শফিক ও সিরাজ উদ্ধার করা বিস্ফোরক কৌশলে সীমান্ত এলাকা দিয়ে এনে নিজেদের হেফাজতে রাখতো এবং পরে সুবিধাজনক সময়ে আরসা সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করে আসছিল।

অভিযানে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকদ্রব্যের মাধ্যমে বোমা প্রস্তুত করে আধিপত্য বিস্তারের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সংঘাতে ব্যবহার করার উদ্দেশে মজুদের কবুল করেছে সন্ত্রাসীরা।