ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের টাকাও আত্মসাৎ করেন হেফাজত নেতারা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বলেও জানান ঢাকা মেট্টোপলিটন গোয়েন্দারা’

মসজিদ-মাদ্রাসা ছাড়াও রোহিঙ্গাদের সাহায্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো টাকাও আত্মসাত করতে এতোটুকু বাদেনি হেফাজত নেতাদের। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ মাদ্রাসা বা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্যও প্রবাসীরা দান করে থাকেন। এই টাকাও হেফাজত নেতারা নয়-ছয় করেছেন।

রবিবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম। তিনি জানান, হেফাজত নেতারা ঐ টাকাগুলো তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো খরচ করতেন।

বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গাদের টাকাও হেফাজত নিজেদের কাজে ব্যবহার করত। টাকাগুলো দিয়ে হেফাজত নেতারা নিজেদের বাড়ি-গাড়ি করেছে।

হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বলেও জানান ঢাকা মেট্টোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে তারা গ্রেফতার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে অনেক মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।

হেফাজতের অর্থনৈতিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক কাসেমীকেও। তার অ্যাকাউন্টও বেশ কিছু লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোরও তদন্ত চলছে।

তদন্তে দেখা গেছে, মাদ্রাসার সংগঠন বেফাক কিংবা হায়াতুল উলয়া এসব সংগঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন কিন্তু তারাও হেফাজতের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব সংগঠনগুলো তাদের সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ ধরনের অর্থ যাদের হাতে চলে যাচ্ছে কিংবা অর্থের নিয়ন্ত্রক যারা তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।

আবার ক্ষেত্র বিশেষে তারাই এই টাকাগুলোর মালিক হচ্ছে। অনেক ভালো আলেম-ওলামা আছেন, তারা এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছেন। কারণ যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বিষয়ে আলাদা মামলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

২০১৩ সালের ১৪টি মামলা আমরা তদন্ত করছেন তারা। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি মামলা আমরা পেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীও এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রোহিঙ্গাদের টাকাও আত্মসাৎ করেন হেফাজত নেতারা

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

‘হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বলেও জানান ঢাকা মেট্টোপলিটন গোয়েন্দারা’

মসজিদ-মাদ্রাসা ছাড়াও রোহিঙ্গাদের সাহায্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো টাকাও আত্মসাত করতে এতোটুকু বাদেনি হেফাজত নেতাদের। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ মাদ্রাসা বা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্যও প্রবাসীরা দান করে থাকেন। এই টাকাও হেফাজত নেতারা নয়-ছয় করেছেন।

রবিবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম। তিনি জানান, হেফাজত নেতারা ঐ টাকাগুলো তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো খরচ করতেন।

বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গাদের টাকাও হেফাজত নিজেদের কাজে ব্যবহার করত। টাকাগুলো দিয়ে হেফাজত নেতারা নিজেদের বাড়ি-গাড়ি করেছে।

হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বলেও জানান ঢাকা মেট্টোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে তারা গ্রেফতার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে অনেক মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।

হেফাজতের অর্থনৈতিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক কাসেমীকেও। তার অ্যাকাউন্টও বেশ কিছু লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোরও তদন্ত চলছে।

তদন্তে দেখা গেছে, মাদ্রাসার সংগঠন বেফাক কিংবা হায়াতুল উলয়া এসব সংগঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন কিন্তু তারাও হেফাজতের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব সংগঠনগুলো তাদের সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ ধরনের অর্থ যাদের হাতে চলে যাচ্ছে কিংবা অর্থের নিয়ন্ত্রক যারা তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।

আবার ক্ষেত্র বিশেষে তারাই এই টাকাগুলোর মালিক হচ্ছে। অনেক ভালো আলেম-ওলামা আছেন, তারা এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছেন। কারণ যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বিষয়ে আলাদা মামলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

২০১৩ সালের ১৪টি মামলা আমরা তদন্ত করছেন তারা। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি মামলা আমরা পেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীও এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানান তিনি।