ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে এবং এটি নিয়ে কাজ হচ্ছে। এটা নিয়ে সামনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কথাবার্তা হবে। সে আলোকেই খসড়া হবে। তারা আশা করছেন, এ নিয়ে সামনে আরও অগ্রগতি দেখা যাবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে আলোচনা হবে, সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি বলে জানান প্রেস সচিব।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচি দিয়েছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা হয়।

তখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মসূচির আগের দিন গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে রাষ্ট্রীয় এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেছিলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে।

এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে। তিনি বলেছিলেন, আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।

এরপর ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে মার্চ ফর ইউনিটি (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে এবং এটি নিয়ে কাজ হচ্ছে। এটা নিয়ে সামনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কথাবার্তা হবে। সে আলোকেই খসড়া হবে। তারা আশা করছেন, এ নিয়ে সামনে আরও অগ্রগতি দেখা যাবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে আলোচনা হবে, সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি বলে জানান প্রেস সচিব।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচি দিয়েছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা হয়।

তখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মসূচির আগের দিন গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে রাষ্ট্রীয় এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেছিলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে।

এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে। তিনি বলেছিলেন, আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।

এরপর ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে মার্চ ফর ইউনিটি (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।