ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবীন্দ্রনাথ বর্তমানের ক্যানভাসে বিশ্ব ও জীবনকে এঁকেছেন : ফাহমিদা হক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩ ৩১৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনিরুদ্ধ

রবীন্দ্রনাথ আমাদের সত্ত্বায় মিশে আছে। তার রচনা চির নতুন ও চিরকালের। তিনি জগৎ ও জীবনকে একেছেন বর্তমানের ক্যানভাসে। তাই বাঙালি প্রতিটি সংকটে, সংশয়ে আশ্রয় নেয় রবীন্দ্রনাথের কাছে। বিশ্বে বাঙালি যতদিন থাকবে, ততদিন রবীন্দ্রনাথ বেচে থাকবেন। মোলায়েম কণ্ঠে এমনটিই উচ্চারণ করলেন শিক্ষাবিদ ও প্রতিথযশা বাচিক শিল্পী ফাহমিদা হক।

ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের নান্দনিক প্রঙ্গণ। ভেতরে মিলনায়তনে দু’দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। এই উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথের ছবি, ব্যানার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দর্শক এসে প্রথমেই প্রাঙ্গণে থেমে দাঁড়ায় এবং ঘুরে দেখে নিয়ে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন।

সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠতেই দেখা গেলো শান্ত পায়ে একজন নারী হেটে রবীন্দ্রনাথের ছবি পাশে গিয়ে থামলেন। তারপর অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। মনে হচ্ছে কতকালের চেনা। কাছাকাছি এগিয়ে যেতেই স্মিত হাসি ছড়িয়ে দিলেন। দু’দিনের সমৃদ্ধ আয়োজনের উদ্বোধনী দিনে আসতে পারেননি।

এক মুহূর্ত থেমে গিয়ে ফাহমিদা হক বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। বাংলা সাহিত্যকে বিপুল সৃষ্টিসম্ভারে বদলে দিয়েছেন। সমৃদ্ধ করেছেন বাঙালির মানসজগত এবং বাংলাকে দিয়েছেন বিশ্ব পরিচিতি।

রবীন্দ্রনাথ নিজের সমৃদ্ধ সাহিত্য চর্চার পরিধি দিয়ে বিস্তৃত করেছেন গোটা বাংলা সাহিত্যের পরিসর। সেই কথাই মনে করিয়ে দিল বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংঙ্গীত শিল্পী সংস্থার এই মহাআয়োজন।

বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঘিরে যেকোন আয়োজনই বহুমাত্রিক রূপ পায়। এবারের উৎসবেও এর কোন কমতি নজরে আসেনি। বলা যায় এতো সমৃদ্ধ আয়োজন কমই চোখে পড়ে।

 

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রবীন্দ্রনাথ বর্তমানের ক্যানভাসে বিশ্ব ও জীবনকে এঁকেছেন : ফাহমিদা হক

আপডেট সময় : ১০:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

অনিরুদ্ধ

রবীন্দ্রনাথ আমাদের সত্ত্বায় মিশে আছে। তার রচনা চির নতুন ও চিরকালের। তিনি জগৎ ও জীবনকে একেছেন বর্তমানের ক্যানভাসে। তাই বাঙালি প্রতিটি সংকটে, সংশয়ে আশ্রয় নেয় রবীন্দ্রনাথের কাছে। বিশ্বে বাঙালি যতদিন থাকবে, ততদিন রবীন্দ্রনাথ বেচে থাকবেন। মোলায়েম কণ্ঠে এমনটিই উচ্চারণ করলেন শিক্ষাবিদ ও প্রতিথযশা বাচিক শিল্পী ফাহমিদা হক।

ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের নান্দনিক প্রঙ্গণ। ভেতরে মিলনায়তনে দু’দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। এই উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথের ছবি, ব্যানার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দর্শক এসে প্রথমেই প্রাঙ্গণে থেমে দাঁড়ায় এবং ঘুরে দেখে নিয়ে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন।

সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠতেই দেখা গেলো শান্ত পায়ে একজন নারী হেটে রবীন্দ্রনাথের ছবি পাশে গিয়ে থামলেন। তারপর অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। মনে হচ্ছে কতকালের চেনা। কাছাকাছি এগিয়ে যেতেই স্মিত হাসি ছড়িয়ে দিলেন। দু’দিনের সমৃদ্ধ আয়োজনের উদ্বোধনী দিনে আসতে পারেননি।

এক মুহূর্ত থেমে গিয়ে ফাহমিদা হক বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। বাংলা সাহিত্যকে বিপুল সৃষ্টিসম্ভারে বদলে দিয়েছেন। সমৃদ্ধ করেছেন বাঙালির মানসজগত এবং বাংলাকে দিয়েছেন বিশ্ব পরিচিতি।

রবীন্দ্রনাথ নিজের সমৃদ্ধ সাহিত্য চর্চার পরিধি দিয়ে বিস্তৃত করেছেন গোটা বাংলা সাহিত্যের পরিসর। সেই কথাই মনে করিয়ে দিল বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংঙ্গীত শিল্পী সংস্থার এই মহাআয়োজন।

বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঘিরে যেকোন আয়োজনই বহুমাত্রিক রূপ পায়। এবারের উৎসবেও এর কোন কমতি নজরে আসেনি। বলা যায় এতো সমৃদ্ধ আয়োজন কমই চোখে পড়ে।