রফতানি পণ্যের চুরি ঠেকাতে কঠোর নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

- আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
“নজির গড়ে সিসিটিভির নজরদারিতে আসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে, যা মাস চারেকের মধ্যেই শেষ হবে”
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক সিসিটিভি’র নজরদারিতে আনার জন্য এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা আগামী চার মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে।

মহাসড়কে রফতানি পণ্যের চুরি ঠেকাতে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। এ শিল্পে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখাসহ সব সহযোগিতা প্রদানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তৎপর রয়েছে। পণ্য চুরি বন্ধের জন্য উপস্থিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে কঠোর নির্দেশনা দেন।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আয়োজিত এক সভায় এই নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রফতানি পণ্য চুরি প্রতিরোধ যেভাবেই হোক, সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক সিসিটিভি’র নজরদারিতে আনার জন্য এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা আগামী চার মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি বন্ধের জন্য অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, হাইওয়ে পুলিশকে প্রধান করে বিজিএমইএ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ এবং বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ কমিটির মূল
কাজ হবে চুরি বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার জন্য এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর) নির্ধারণ করে দেওয়া। নির্দেশনায় আরও রয়েছে, চুরি বন্ধের জন্য হাইওয়ে পুলিশ এখন থেকে শুধু হাইওয়ে নয়, সংযুক্ত ফিডার রোডগুলোতেও টহলদারি ও তদারকি জোরদার করবে।
প্রসঙ্গত, বিজিএমইএ মহাসড়কে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানির মালামাল চুরি প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সদস্যগণ এবং বাংলাদশ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তৈরি পোশাক শিল্পগোষ্ঠীর সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে পোশাক খাতের রফতানি ও আমদানির মালামাল চুরির ঘটছে। এটা মাঝখানে বন্ধ ছিল। ফের আবার শুরু হয়ে গিয়েছে।
এ মহাসড়কে একটি সংঘবদ্ধ শ্রেণিচক্র কাভার্ডভ্যানের চালকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রাতের বেলায় কাভার্ডভ্যান দাঁড় করিয়ে মালামাল চুরি করছে। অনেক সময় কার্টুনের ওজন ঠিক রাখার জন্য তারা কার্টুনে ঝুট, মাটি ইত্যাদি ভরে দিচ্ছে। পরে যখন উক্ত রফতানি পণ্য আমেরিকা-
ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, তখন কার্টুন খুলে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে। এতে করে রফতানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি দেশের সুনামও নষ্ট হচ্ছে।
পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ চুরি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা দিয়ে বলেন, এ কমিটি চুরি বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার জন্য এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর) নির্ধারণ করার কাজ করতে পারে।