বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রতিক সময় এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সীমান্ত ঘটনা শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিষয়টি যথাযথভাবে দেখভাল করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটও ওঠে আসে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ নয়াদিল্লীর সক্রিয় ভূমিকা আশা করে। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায়।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী সেতু চালু হওয়ায় যোগাযোগ খাতে সহযোগিতায় নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। তিনি বলেন, এরফলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মঙ্গলা পোর্ট ব্যাবহার করতে পারবে।
নেপাল ও ভুটানের সংগে বাংলাদেশকে সংযুক্তকরণে কয়েকটি রুটের কথা উল্লেখ করে পরস্পরের সম্ভাবনার স্বার্থে ভারত তা বিবেচনা করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে মোটর যান চলাচল চুক্তি হলে তিন দেশই লাভবান হবে।
শেখ হাসিনা “মুজিবনগর-নদীয়া রোড” স্বাধীনতা সড়ক হিসেবে নামকরণে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত দিল্লী ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে “বঙ্গবন্ধু চেয়ার” প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের প্রসংশা করেন।
আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসউদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ভারতীয় পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সেদেশের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত কুমা ধোবাল এবং বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।