মেয়াদোত্তীর্ণ ২৭ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করলো চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ
- আপডেট সময় : ১১:১১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস রিপোর্ট, চট্টগ্রাম
আমদানিকৃত বিভিন্ন রকমের পণ্য ২৯৮টি কনটেইনার বন্দরে পড়েছিলো দীর্ঘদিন। অবশেষে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ২০০৯-২০ সাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ব্যবহার অযোগ্য, পচা, গলা, মেয়াদোত্তীর্ণ ২৯৮টি কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের জন্য চিহ্নিত করে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। সোমবার তালিকাভুক্ত ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ২৭টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করার মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের উত্তর হালিশহরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন রোডের চৌধুরী পাড়ার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এসব কনটেইনারের পণ্য ক্রেনের সাহায্যে বের করা হয়। এরপর খালি কনটেইনারগুলো সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টের প্রতিনিধিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাস্টমসের নিলামকারী প্রতিষ্ঠান কেএম করপোরেশনের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পণ্য ধ্বংস করতে কর্তৃপক্ষ গঠিত কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথম দিনে ১০-১২টি ক্রেন, স্কেভেটার, ট্রেইলার, ট্রাকসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক কাজে হাত লাগিয়েছে।
শিপিং এজেন্টের সূত্রের খবর, বিদেশ থেকে কনটেইনারে পণ্য আমদানির পর দেশের বাজারে দাম কমে গেলে কিংবা মামলাসহ নানা জটিলতার কারণে অনেক সময় আমদানিকারকরা বন্দর থেকে পণ্যের ডেলিভারি নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এ অবস্থায় বছরের পর বছর শিপিং এজেন্টের কনটেইনার আটকে থাকে। সব মিলিয়ে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয় তাদের। বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল আনতে এবং কনটেইনার জট সামাল দিতে বন্দর বা অফডকের জায়গা খালি করার প্রযোজন হয়।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনায় ২১ মার্চ কাস্টম হাউসে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা কমিটি থেকে জেলা প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, সিএমপি, পরিবেশ অধিদফতর, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি দেওয়া হয়। ১০ দিনে এবারের ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্নর পরিকল্পনা করা হয়েছে।