মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড গড়ল ঢাকা

- আপডেট সময় : ০৮:১০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
একদিনে মৃত্যু ১৬৪জন, আক্রান্ত ৯ হাজার ৯৯৪, ‘সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানালো, একদিনে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ করোনা জন আক্রান্তর হলো’
লকডাউনের পঞ্চমদিনে ঢাকায় আটক ৪১৩ জন
পহেলা জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের মধ্য দিয়ে পঞ্চমদিন পার করল বাংলাদেশ। এদিনই বাজপড়ার মতো করোনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৬৪জনের মৃত্যুর বার্তা দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে আক্রান্ত তালিকা ১০ হাজার ছুঁই ছুঁই।
এ অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে সাত দিনের লকডাউন আরও ৭দিন বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।

শনাক্তে আর মৃত্যুর প্রতিযোগিতার মধ্যেও এদিন রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন, রিকশার চলাচল বেড়েছে। ৯ দিন ধরে মৃত্যু শতকের ঘর ছাড়ছে না। রবং প্রতিনিয়ত নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে।
রবিবার সর্বোচ্চ ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। রাত পেরুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে পৌছেছে ১৫ হাজার ২২৯ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনায় শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৯৯৪ জন। মৃত্যু ও আক্রান্তর দিক দিয়ে যা রেকর্ড। এ নিয়ে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ করোনা জন আক্রান্তর হলো।
আক্রান্তদের একটা বড় অংশ গ্রামাঞ্চলের। এতে করে স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় গ্রাম পর্যায়ে করোনার বিস্তার ঘটেছে।
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় মারা গিয়েছে ৯৫ জন। নতুন আক্রান্তর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ অবস্থা চণলতে থাকলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
লকডাউনের পঞ্চদিনে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ঢাকায় মানুষের চলাচল বেড়েছে। বিশেষ করে ঢাকার আশপাশের এলাকার মানুষজন প্রাইভেট কার নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন।
ঢাকার যাত্রাবড়ি ও আশপাশ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অনেককে আটক করে মোবাইল কোর্টেোর সামনে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে অনেক দিনমজুর ছিলেন। এদের অনেককে জরিমানা গুণতে হয়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রিবিবারের তুলনায় সোমবার রিকশাসহ ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
লকডাউনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেকে কথা বলতে নারাজ। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাজ বন্ধ আমরা এখন কি করে সংসার চালাবো।
পুলিশ বিভিন্ন চেকপোস্টে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শিল্পকারখানা, ব্যাংক, সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের যানবাহনে অথবা পরিচয়পত্র নিয়ে বের হতে দেখা গেছে।
প্রধান সড়কে পাশে রিকশার জটলা। রিকশায় করে নগরবাসী তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। চার দিন পর ব্যাংক খুলেছে। অনেকে প্রয়োজনীয় লেনদেন করতে বাইরে বের হয়েছেন। রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় রিকশা কিংবা পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।
কাওরান বাজার এলাকায় দায়িত্ব পালন করা ম্যাজিস্ট্রেট তানভির জানালেন, অনেকে হাসপাতালে যাবার কাগজ দেখাচ্ছেন, আবার অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানির নামে জরুরি কাগজপত্র দেখাচ্ছেন। গাড়িতে বিভিন্ন স্টিকার ও ব্যানার রেখে জরুরি সেবা বলে অজুহাত দেখাচ্ছে।