মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিন দিনের ঢাকা সফরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০৭:০৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১ ২৪১ বার পড়া হয়েছে

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক, ঢাকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। বৃহস্পতিবার সকালে ভুটানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
আয়োজনের সূচনা হয়েছে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিনে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে ১০দিন ব্যাপী আয়োজনের পর্দা নামবে। প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এই আয়োজনে সঙ্গী হচ্ছেন। প্রথম দিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এবং ২২ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসছেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে লোটে শেরিংকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২১ বার তোপধ্বনিতে স্বাগত জানানো হয়। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার দেয়। বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং তিন বাহিনীর প্রধান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকা সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। টার্মিনালের উপরে এবং সামনে ছিল বাংলাদেশ ও ভুটানের পতাকার সজ্জা। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
ধানমন্ডির ৩২ সড়কে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মতি যাদুঘর পরিদর্শন করেন। বিকালে বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন লোটে শেরিং। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে লোটে শেরিং জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেন।