ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৩৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এখনও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তার ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিনি জানান। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসার পাকিস্তানের পক্ষে তার ভূমিকার জন্য প্রশংসা করে তাকে চিঠি লিখেছিল। জিয়া স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন।

যে শাহ আজিজুর রহমান পাকিস্তানের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সুতরাং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

শনিবার বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম পাঠ করেন এম এ হান্নান। পরদিন ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতারা সেনাবাহিনীর একজন অফিসারকে দিয়ে ঘোষণাটি পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি রণাঙ্গনে ব্যস্ত থাকায় পরে কালুরঘাট অতিক্রম করে পটিয়ার দিকে যাত্রাকারী মেজর জিয়াউর রহমানকে বোয়ালখালী থেকে খুঁজে এনে ঘোষণাটি পাঠের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথমে তিনি ভুল পড়েছিলেন। পরেরবার শুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণাটি পড়েন। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এটি শোনানো প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং তথ্য সচিব খাজা মিয়া বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এখনও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তার ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিনি জানান। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসার পাকিস্তানের পক্ষে তার ভূমিকার জন্য প্রশংসা করে তাকে চিঠি লিখেছিল। জিয়া স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন।

যে শাহ আজিজুর রহমান পাকিস্তানের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সুতরাং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

শনিবার বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম পাঠ করেন এম এ হান্নান। পরদিন ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতারা সেনাবাহিনীর একজন অফিসারকে দিয়ে ঘোষণাটি পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি রণাঙ্গনে ব্যস্ত থাকায় পরে কালুরঘাট অতিক্রম করে পটিয়ার দিকে যাত্রাকারী মেজর জিয়াউর রহমানকে বোয়ালখালী থেকে খুঁজে এনে ঘোষণাটি পাঠের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথমে তিনি ভুল পড়েছিলেন। পরেরবার শুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণাটি পড়েন। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এটি শোনানো প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং তথ্য সচিব খাজা মিয়া বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।