ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিললো আরও চার ভ্যারিয়েন্ট

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১ ২২৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘এবারে ভারতের সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লকডাউনের পথে বাংলাদেশ’

দফায় দফায় সীমান্ত দুয়ার বন্ধ রেখেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেল না বাংলাদেশ। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভ্যারিয়েন্টের ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ভ্যারিয়েন্টে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে বেশ কয়েকজন আক্রান্তকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালে একাধিক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। যা নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মিললো আরও চার ভ্যারিয়েন্ট

বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে যুক্ত হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, দেশে এযাবৎ ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। বি.১.৬.৭ এটি ভারত ফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়েছেন তারা।

এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন কোনও বিষয় নয়, এমন মন্তব্য টেনে বলেন, যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, ততই মিলবে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে সংক্রমণ কমানো সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, এটা আমের মৌসুম। আম পচনশীলও। অনেক পরিবার আমের বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই মৌসুমে আম কেনাবেচা করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগান থেকে আম কেনাবেচা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারজাত করার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে খোলা জায়গায় বিক্রি করতে হবে। অনলাইন শপিংয়ে মাধ্যমে আম কেনাবেচা বিষয়ে জোর দেন তিনি।

সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লাকডাউনের সুপারিশ 

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রুখতে সীমান্তবর্তী নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা এই সাত জেলায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪ জুন পর্যন্ত স্থল সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, করোনা পরীক্ষা ছাড়াই অবাদে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে অবাদে যাতায়ত করা। জানা গেয়েছে, কোন রকমের পরীক্ষার তোয়াক্কা না করেই ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থলসীমান্তে আসছে এবং পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দিনের পর দিন বন্দরে অপেক্ষার সময় ট্রাক চালক ও হেলপাররা ঘুরে বেড়াচ্ছে।

হিলি স্থল বন্দরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে, প্রায় শ’ দুয়েক ট্রাক। এতে বন্দর এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতীয় ট্রাকের চালক, হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।

স্থল সীমান্ত বন্ধ  ১৪ জুন পর্যন্ত

এমনি ভাবে বিভিন্ন স্থল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ফ্রি স্টাইল চলাফেরার কারণে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কবল থেকে রক্ষাপেতে স্থল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ ফের ১৪ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে টানা স্থলসীমান্ত দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়ত বন্ধ রয়েছে। সে সময় বিদেশমন্ত্রী দুই সপ্তাহ সীমান্ত বন্ধ থাকার কথা জানালেও পরবর্তীতে দফায় দফায় স্থল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম ছিল, তাদেরকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারিন্টের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মিললো আরও চার ভ্যারিয়েন্ট

আপডেট সময় : ১০:৪২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

‘এবারে ভারতের সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লকডাউনের পথে বাংলাদেশ’

দফায় দফায় সীমান্ত দুয়ার বন্ধ রেখেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেল না বাংলাদেশ। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভ্যারিয়েন্টের ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ভ্যারিয়েন্টে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে বেশ কয়েকজন আক্রান্তকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালে একাধিক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। যা নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মিললো আরও চার ভ্যারিয়েন্ট

বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে যুক্ত হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, দেশে এযাবৎ ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। বি.১.৬.৭ এটি ভারত ফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়েছেন তারা।

এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন কোনও বিষয় নয়, এমন মন্তব্য টেনে বলেন, যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, ততই মিলবে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে সংক্রমণ কমানো সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, এটা আমের মৌসুম। আম পচনশীলও। অনেক পরিবার আমের বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই মৌসুমে আম কেনাবেচা করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগান থেকে আম কেনাবেচা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারজাত করার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে খোলা জায়গায় বিক্রি করতে হবে। অনলাইন শপিংয়ে মাধ্যমে আম কেনাবেচা বিষয়ে জোর দেন তিনি।

সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লাকডাউনের সুপারিশ 

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রুখতে সীমান্তবর্তী নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা এই সাত জেলায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪ জুন পর্যন্ত স্থল সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, করোনা পরীক্ষা ছাড়াই অবাদে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে অবাদে যাতায়ত করা। জানা গেয়েছে, কোন রকমের পরীক্ষার তোয়াক্কা না করেই ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থলসীমান্তে আসছে এবং পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দিনের পর দিন বন্দরে অপেক্ষার সময় ট্রাক চালক ও হেলপাররা ঘুরে বেড়াচ্ছে।

হিলি স্থল বন্দরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে, প্রায় শ’ দুয়েক ট্রাক। এতে বন্দর এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতীয় ট্রাকের চালক, হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।

স্থল সীমান্ত বন্ধ  ১৪ জুন পর্যন্ত

এমনি ভাবে বিভিন্ন স্থল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ফ্রি স্টাইল চলাফেরার কারণে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কবল থেকে রক্ষাপেতে স্থল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ ফের ১৪ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে টানা স্থলসীমান্ত দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়ত বন্ধ রয়েছে। সে সময় বিদেশমন্ত্রী দুই সপ্তাহ সীমান্ত বন্ধ থাকার কথা জানালেও পরবর্তীতে দফায় দফায় স্থল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম ছিল, তাদেরকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারিন্টের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়।