মির্জা ফখরুলের স্ববিরোধী বক্তব্যের কারণ বিএনপিরই খোঁজা উচিৎ : ড. হাছান মাহমুদ
- আপডেট সময় : ০২:২১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০ ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একবার বলছেন, সরকার নাকি একদলীয় আচরণ করছে, আবার বলছেন, দেশে সরকার আছে কি না তা বোঝা যাচ্ছে না-তার এমন স্ববিরোধী অসংলগ্ন বক্তব্য কেন তার কারণ খোঁজা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী তখা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব:) শওকত আলী স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে একথা বলেছেন ড. হাছান। শুক্রবার ঢাকার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন তিনি। যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও জনতার প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালেও দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির ফলে এবছর বিশ্বের হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি ধনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধির দেশের অন্যতম হওয়ায় দেশ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। কিন্তু দেশের এই গতিশীল উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না বলেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রও শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্কতা উচ্চারণ করেন ড. হাছান মাহমুদ। প্রয়াত শওকত আলীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ও তার আত্মার শান্তি কামনা করে ড. হাছান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।
একাধারে ছয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত শওকত আলী ছিলেন একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। এই নির্মোহ সদালাপী মানুষটি শেখ হাসিনার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজের সহযোগী ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০১ সালে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে যখন আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল, তখন শওকত আলী অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের কাছে অনুকরণীয় এ ব্যক্তিত্বের মৃত্যু শুধু দলের নয় সমগ্র দেশের রাজনীতির জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দ্রুত সুস্থতা এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেনো সুস্থ থাকেন, সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি বিএনপির তাদের মহাসচিবের অসংলগ্ন বক্তব্যের কারণ বের করবেন এমন প্রত্যাশাও করেন তিনি।
জনতার প্রত্যাশা সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় সভায় আওয়ামী লীগ নেতা এড. বলরাম পোদ্দার, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আকরাম হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরীফ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সভাপতি হুমায়ুন কবির, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুজ্জামান ভুট্টো, প্রজন্ম লীগের রোকন উদ্দিন পাঠান, বঙ্গবন্ধু একাডেমীর মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।