মামানুল হকের কর্মকান্ড দেশ, সমাজ ও ধর্শের জন্য হুমকিস্বরূপ : তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১১:২৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ ১৯৮ বার পড়া হয়েছে
ড. তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে হেফাজত নেতাকে নিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, মামুনুল হক সাম্প্রিতিক সময়ে যেসব কর্মকাণ্ড করেছে এবং ২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডবে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেগুলো দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র ও ইসলামের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায়ও মামুনুল হকসহ কিছু হেফাজত নেতার ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কয়েক মাস আগে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা ঘিরে বিক্ষোভ-সহিংসতার সময়ও আলোচনায় ছিলেন তিনি। গত রোববার মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানা ও নারায়ণগঞ্জে দেড় ডজনের বেশি মামলা রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী গুম হওয়া নিয়ে দলটির নেতা মির্জা আব্বাসের বক্তব্য সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বলেন, মির্জা আব্বাস অনলাইনে লাইভ মিটিংয়ে মুখ ফসকে সত্যিটা বলে ফেলেছেন।
পরে দলের মধ্যে সমালোচনার মুখে তিনি সেই বক্তব্যের দায় গণমাধ্যমের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তবে সত্যিটা বলার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি তিনি ভবিষ্যতে আরও এমন সত্যি বলে দেবেন।
লকডাউনের মধ্যে পুলিশের হাতে চিকিৎসক ও অন্যান্য পেশাজীবীর হেনস্তার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে যত্ন ও কষ্ট করছে, এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। পাশাপাশি দায়িত্ব পালনের সময় খেয়াল রাখতে হবে, কেউ যেন হেনস্তা না হন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একজন চিকিৎসক যিনি অ্যাপ্রোন পরে আছেন, যার গাড়িতে দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার আছে, তাকে পরিচয়পত্রের জন্য বারবার চাপ দেওয়া কতটা সমীচীন, সে প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন।