মমতা বাড়ির সামনে থেকে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩ ২০০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটের বাড়ির সামনে থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরের দিকে দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের হরিস চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সামনে কালো গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তা দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা।
সন্দেহভাজন আটক ব্যক্তির নাম শেখ নুর আমিন। নিজেকে একজন পুলিশ কর্মী বলে দাবি করেন তিনি। তার পরনে ছিল কালো রঙের ব্লেজার, চোখে সানগ্লাস।
পুলিশ স্টিকার সাঁটানো গাড়িতে করেই মমতার বাড়ির কাছাকাছি চলে আসেন তিনি। আটক করা হয় তার গাড়িটিও। গাড়ির মধ্যে পুলিশের আইডি কার্ড ছাড়াও বিএসএফ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) আইডি কার্ড পাওয়া যায়। পাশাপাশি গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি ও মাদক।
স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত জিনিস নিয়ে কেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছিলেন বা কীভাবে তার কাছে বিভিন্ন এজেন্সির সচিত্র পরিচয়পত্র এলো তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিকে আটক করে ইতোমধ্যে কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অভিযুক্ত শেখ নুর আমিনের বাড়ি কলকাতার কাছেই আনন্দপুর থানার অধীন মার্টিন পাড়া এলাকায়। মূলত ইন্টিরিয়ার ডেকোরেশনের কাজ করতেন এই নূর। ‘নূর ইন্টেরিয়ার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে তার একটি সংস্থাও আছে।
কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, শেখ নুর আমিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যখন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির একেবারে কাছাকাছি চলে আসেন তখনই পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করে। তার কাছ থেকে বিভিন্ন এজেন্সির আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো তদন্ত করে দেখছি। তিনি নানারকম কথা বলছেন।
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার কী উদ্দেশ্য ছিল সেগুলো সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার কাছে ফায়ার আর্মস, মাদক পাওয়া গেছে। এটা একটা সিরিয়াস ইস্যু। ইতোমধ্যেই এসটিএফ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, স্থানীয় থানা পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
একুশে জুলাই উপলক্ষে এদিনই কলকাতার ধর্মতলার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন মমতা। তার আগেই তার বাড়ির গলিতে এমন একটি ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায় এলাকায়। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।