ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে যাবে বিএজেপি: রফিকুল আমীন নিবন্ধন পেতে রোববার ইসিতে আবেদন করবে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি যোগব্যায়াম দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আত্মীয়তার স্থায়ী বন্ধন ইরানের সমর্থনে তেহরান-বাগদাদ-বৈরুতের রাজপথে মানবঢল ইরানে হামলা: ইসরায়েলকে দিয়ে নোংরা কাজ করাচ্ছেন ট্রাম্প ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার মব ভায়োলেন্স বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি সেনাবাহিনীর  শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস কবিতা: বর্ষা ঢুকেছে দেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চলানো নিয়ে ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক ইউনূস-তারেক লন্ডন বৈঠক, রাজনীতে সুবাতাস

মগবাজার বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেউ কেউ বলছেন, এসির বিস্ফোরণ, কেউ দায়ী করছে মার্কেটের জেনারেটর, আবার অনেকেই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণে বিষয়টিও বলছেন।

এরই মধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ১৪ ঘন্টা। কিন্তু মগবাজার ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঠিক কারণ স্পষ্ট হচ্ছে না।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, শর্মা হাউজ নামে ফুডশপে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটেছে।

কীভাবে এবং কোথা থেকে বিস্ফোরণ হলো তা খতিয়ে দেখতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ফায়ার সার্ভিসের এক্সপার্টরা রাতেই কাজ শুরু করেছেন।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার একটি তিন তলা ভবনে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ বিস্ফোরণে এক শিশু ও তার মাসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, আউটলেটে প্রবেশের পথ দিয়ে লোকজন আসা-যাওয়া করছেন। হঠাৎই ধেয়ে আসে বিস্ফোরণের হলকা। ভেঙে যায় আউটলেটের কাচ। নেমে আসে অন্ধকার। বিস্ফোরণের পর পরই লোকজন ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। মোবাইল ফোনে কয়েকজনকে যোগাযোগ করতে দেখা যায়।

ভবনে জমে থাকা গ্যাসই বিস্ফোরণের মূল কারণ বলে ধারণা করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। বিস্ফোরণের পর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু এবং বহুজন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগেই নেওয়া হয়েছে ৩২ জনকে এবং বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় ১৭ জনকে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। এ সময় ফ্লাইওভার এবং নিচের সড়কে যানজটে আটকে থাকা বাসসহ অন্যান্য গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে ভেঙে যায় যানবাহনের জানালার কাচ। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে র্কর্তৃপক্ষ।

বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে ৯ মাসের কন্যাশিশু সুবহানা ও তার মা জান্নাত (২৫) এবং স্বপন, রেডিও ধ্বনির সাবেক কর্মী মুস্তাফিজুর রহমান (২৯), আবুল কাশেম এবং অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি আছেন।

বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী সুলায়মান চৌধুরী। এর ভয়াবহতার কথা জানাতে সুলায়মান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আচমকা বিকট শব্দে কানে তালা লেগে যায় আমার। সত্যিই আমি কী করব বুঝে উঠতে পারিনি। হুড়োহুড়ি করে নিচে নামার সময় কান বন্ধ হয়ে যায়।

আমার মাথা কাজ করছিল না। তবে সেন্স ছিল। নিচে নেমে দেখলাম, অবিরামভাবে উপর থেকে কাচের বড় বড় টুকরো ভেঙে পড়ছে। বড় বড় সব ইট-পাথর ও কাচের টুকরো ডিঙিয়ে কোনোমতে বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মগবাজার বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়

আপডেট সময় : ১০:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

কেউ কেউ বলছেন, এসির বিস্ফোরণ, কেউ দায়ী করছে মার্কেটের জেনারেটর, আবার অনেকেই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণে বিষয়টিও বলছেন।

এরই মধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ১৪ ঘন্টা। কিন্তু মগবাজার ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঠিক কারণ স্পষ্ট হচ্ছে না।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, শর্মা হাউজ নামে ফুডশপে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটেছে।

কীভাবে এবং কোথা থেকে বিস্ফোরণ হলো তা খতিয়ে দেখতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ফায়ার সার্ভিসের এক্সপার্টরা রাতেই কাজ শুরু করেছেন।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার একটি তিন তলা ভবনে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ বিস্ফোরণে এক শিশু ও তার মাসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, আউটলেটে প্রবেশের পথ দিয়ে লোকজন আসা-যাওয়া করছেন। হঠাৎই ধেয়ে আসে বিস্ফোরণের হলকা। ভেঙে যায় আউটলেটের কাচ। নেমে আসে অন্ধকার। বিস্ফোরণের পর পরই লোকজন ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। মোবাইল ফোনে কয়েকজনকে যোগাযোগ করতে দেখা যায়।

ভবনে জমে থাকা গ্যাসই বিস্ফোরণের মূল কারণ বলে ধারণা করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। বিস্ফোরণের পর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু এবং বহুজন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগেই নেওয়া হয়েছে ৩২ জনকে এবং বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় ১৭ জনকে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। এ সময় ফ্লাইওভার এবং নিচের সড়কে যানজটে আটকে থাকা বাসসহ অন্যান্য গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে ভেঙে যায় যানবাহনের জানালার কাচ। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে র্কর্তৃপক্ষ।

বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে ৯ মাসের কন্যাশিশু সুবহানা ও তার মা জান্নাত (২৫) এবং স্বপন, রেডিও ধ্বনির সাবেক কর্মী মুস্তাফিজুর রহমান (২৯), আবুল কাশেম এবং অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি আছেন।

বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী সুলায়মান চৌধুরী। এর ভয়াবহতার কথা জানাতে সুলায়মান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আচমকা বিকট শব্দে কানে তালা লেগে যায় আমার। সত্যিই আমি কী করব বুঝে উঠতে পারিনি। হুড়োহুড়ি করে নিচে নামার সময় কান বন্ধ হয়ে যায়।

আমার মাথা কাজ করছিল না। তবে সেন্স ছিল। নিচে নেমে দেখলাম, অবিরামভাবে উপর থেকে কাচের বড় বড় টুকরো ভেঙে পড়ছে। বড় বড় সব ইট-পাথর ও কাচের টুকরো ডিঙিয়ে কোনোমতে বেরিয়ে আসতে পেরেছি।