মগবাজারে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণটি নাশকতা নয়, আইজপি

- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ ২৪৫ বার পড়া হয়েছে
বিস্ফারণস্থলে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি জানালো বিস্ফোরক অধিদপ্তর
ঢাকার মগবাজারে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ প্রধান থেকে শুরু করে দফায় দফায় ঘটনাস্থলে ছুটে আসছেন, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, পুলিশ কমিশনার, সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসেছে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিস্ফোরণনস্থলে তারা হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পেয়েছেন।
আজিপি ড. বেনজির আহমেদ
না তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন হয়েছে। গ্যাস থেকে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটনাটি তাদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসল কারণ বেড়িয়ে আসবে।

বিস্ফোরণ স্থানের চারিদিকে পুলিশ, সিআইডি ও র্যাব, ফায়ার সার্ভিসসহ গোয়েন্দা সংস্থার যানবাহনে ভরা। রাস্তা সিল করে দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকাটি ঘিরে রবিবার রাত থেকেই পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছে উৎসুক মানুষ।
মহানগর পুশিল কমিশনার
বিস্ফোরণ হলেও তা প্রভাব শুধু আপশাপাশের ভবনে নয়, উড়াল পথ পেরিয়ে রাস্তার উত্তর পাশে প্রায় ৫০০ মিটার দূরের বিশাল মার্কেট, আড়ং শো-রুম এবং আশাপাশের ভবনের দরজা-জানার কাঁচ ভেঙ্গে গুড়া হয়ে রাস্তায় পড়েছে। বিশাল মার্কেটের ব্যবসায়ী লোকমান মেঝের ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দিখিয়ে বললেন, মার্কেটের সিকিউরিটি আফজাল গুরুতর জখম হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কয়েক প্রায় চারশ’ মানুষকে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিস্ফোরণে যারা গুরুতর জখম হয়েছে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। আধিুনিক এই হাসপাতালটির পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, ১৭জন জখম ব্যক্তি গিয়েছে নিয়ে আসা হয়েছিলো। এর মধ্যে ২জন মৃত।
ডিজি ফায়ার সার্ভিস
বাকী তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৯০ শতাংশ বার্ণ। আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকীদের দেহের নানা স্থানে আঘাত। কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেলেও পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের আইজি ড. বেনজির আহমেদ বিস্ফোরণটি আসলে নাশকতা নয়। যদি তাই হতো, তা হলে এটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তো। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে পুলিশেরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানালেন আইজিপি।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন
অপর দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, এখানে একটা বড় ধরণের বিস্ফোরণ ঘটনায় উচ্চমাত্রার শব্দ ও কম্পন হয়েছে। যে কারণে আশাপাশের ভবনের কাঁচ ভেঙ্গে গেছে। বিস্ফোরণে এদিক বাসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুলিশের ধারণা বাসের যাত্রীদের মধ্যেও হতাহত হতে পারে।
বিশাল মার্কেটের ব্যবসায়ী অভি জানালেন, এই এলাকাটি বিকাল থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠে। বিস্ফোরণ ব্যস্ত রাস্তায় যানজট নিত্যঘটনা। রাস্তা ও ফুটপাতে সমানতালে মানুষের যাতায়ত। সন্ধ্যার পর থেকেই এখানের হোটেল, কফি শপ থেকে শুরু ফার্স্ট ফুটের দোকানগুলোয় ভিড় বাড়তে তাকে। ঠিক তখনই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। রাস্তার উভয়ে দিকে ছিল দীর্ঘযানজট।
সোমবার ঘনাস্থলের চারিদিকে সিল করে সিআইডি ক্রাইম সিন, জঙ্গি বিরোধী পুলিশের গোয়েন্দা এবং ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত টিমের সদস্যরা আলামত সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মৃত সাতজনের মধ্যে স্বপন, নোমান, আবুল কাশেম, মোস্তফিজুর রহমান, জান্নাত ও তাঁর মেয়ে তায়ৈবার পরিচয় মিলেছে।