ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, মৃত্যুর কূপ থেকে ফিরে আসা দুই বোন
- আপডেট সময় : ১০:০০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
হঠাৎ করেই ভয়ঙ্কর ঝাঁকুনি। এরপর শুনতে পাই আমাদের ট্রেনের দুটি বগি পড়ে গেছে। তবে তখন মনে হয়েছিল এই
বুঝি সময় শেষ। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা দুই বোন বেঁচে আছি। আমরাও তো এমন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারতাম।
এমনভাবেই কাঁপা গলায় প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া তাকিউস সামিরা জিনান।
এ দুর্ঘটনায় তিনি ও তার বোন নুসরাত জাবিন পৃথা প্রাণে বেঁচে যান। তারা কিশোরগঞ্জ সদর এলাকার বাসিন্দা।
তাকিউস সামিরা জিনান বলেন, কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে।
পরে স্টেশন থেকে ট্রেনটি যখন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার ঠিক এর এক মিনিটের মধ্যে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়।
এসময় আমাদের বগিটি প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন চারদিকে শুধু চিৎকার আর আহাজারি শোনা যাচ্ছিল।
আমরা ট্রেন থেকে নেমে দেখি আমাদের ট্রেনের পেছনের দুটি বগি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে উল্টে আছে। সেখানে পড়ে ছিল
অসংখ্য মরদেহ। এতগুলো মরদেহ কখনো সরাসরি দেখেননি তারা।
ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখে ভেতরটা কেঁপে উঠেছে। আর মনে হচ্ছে মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছি। নুসরাত জাবিন পৃথা
বলেন, আমরা দুই বোন পূজার ছুটিতে কিশোরগঞ্জ নিজ বাড়িতে এসেছিলাম। ছুটি শেষে ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার জন্য
কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরি। এই ট্রেনেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা কবলে পড়ে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একই সময় ভৈরব
থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন এগারো সিন্ধুর। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের
শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়।