ভ্যাকসিন হিরো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- আপডেট সময় : ০৯:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
ক্যানসারে সারা বিশ্বে প্রতি বছর এক কোটি মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশেও তার চিত্র তেমন একটা ভালো নয়। প্রতিবছর এক লাখ মানুষ মারা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবায় পুরস্কৃত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো। বৃহস্পতিবার বিশ্ব ক্যানসার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলা হচ্ছে। যারা গুজব ছড়ায় তারা দেশের মানুষের ভালো চায় না। এটা আমরা করতেও দেবো না। আমরা সারা বছর ভ্যাকসিন নেবো, করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
দেশের মঙ্গল যারা চায় না, তারা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ তুলে মন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বিদেশে বসে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সজাগ রয়েছি। কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। দেশের মানুষ সচেতন, মানুষ উন্নয়ন চায়। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নন কমিউনিকেবল ডিজিজে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আট বিভাগে ক্যানসার হাসপাতাল করা হচ্ছে। যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। হাসপাতাল তৈরি হলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না। চালু হলে আরো এক হাজার বেড যুক্ত হবে। তিনি বলেন, করোনায় বহু লোক মারা যেত, যদি ভালো স্যানিটেশন ব্যবস্থা না হতো।
এখন সংক্রমক রোগ কমছে, কিন্তু অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০টি আইসিউ বেড চালু হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে বাজেট কম। জিডিপির ১ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হচ্ছে। পঞ্চম পরিকল্পনা বার্ষিকীতে ২ শতাংশ বাড়ানো হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ যেখানে করোনার ভ্যাকসিন আনতে পারেনি, সেখানে আমরা প্রথমেই আনতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছি, আপনারা করোনার ভ্যাকসিন নেবেন, তাহলে করোনা প্রতিরোধ করতে পারবো।
মন্ত্রী বলেন, সময়মতো চিকিৎসা নিলে বা রোগ নির্ণয় করলে সেরে ওঠা যায়। আদিকাল থেকে ক্যানসার ছিল। আজ থেকে চার হাজার বছর আগেও ক্যানসারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। খাবারে রং মেশালে, মেদ বাড়লে, বাতাস দূষিত করলে ও ধূমপান করলেও চিকিৎসা হয়। যথাসময়ে রোগ নির্ণয় হলে নিরাময় লাভ করা যায়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ক্যানসার পৃথিবীতে সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাধি। প্রতিবছর ১৯ মিলিয়ন লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়। ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ক্যানসার রোগী বাড়ছে, বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ওষুধ রপ্তানি করে যে আয় হয়, এর চেয়ে বেশি অর্থ ক্যানসার চিকিৎসায় বিদেশে চলে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশীদ আলম বলেন, ক্যানসার নির্ণয়ে স্ক্রিনিং মেশিন বাড়ানো দরকার। ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে, খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে এবং সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব ডা. এমএ আজিজ ও আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।