ছবি: সংগৃহীত
প্রকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্পেরা কোন পূর্বাভাস নেই। অবশ্য ২০২০ সালে বিশ্বকে নিরাপদ করতে ভূমিকম্প পূর্বাভাস-ব্যবস্থা তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলো গুগল।
এদিকে ক্যারিবিয়ান সাগর অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯৭ জনে। হাইতির স্থানীয় সময় শনিবার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার কম্পনে বাড়িঘর ভেঙ্গে আহতর সংখ্যা অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ছাড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে বহু আবাসিক ভবন ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তর তালিকায় রয়েছে ধর্মীয় উপাসনালয় ও হোটেল।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এই ভূমিকম্পকে ‘ব্যাপক ক্ষতি’ বলে আখ্যায়িত করে এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এ জায়গাটি
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট-অ-প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
অন্যদিকে বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আগাম সতর্কতা পাওয়া কঠিন। ভূমিকম্প কি আগাম শনাক্ত করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমেছে প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান গুগল। তারা বিশ্বকে নিরাপদ করার ভাবনা থেকে ভূমিকম্পের ভূমিকম্প পূর্বাভাস
ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা করছে। ২০২০ সালে এমন ঘোষণাই এসেছিলো গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাইয়ের তরফে।
সেসময় জানানো হয়েছিলো যে, গুগল সম্প্রতি ফাইবার অপটিক কেবল ব্যবহার করে একটি পরীক্ষা করেছে। যাতে ভূমিকম্প এবং সুনামির সতর্কতায় তআদের ব্যবস্থার পদ্ধতি কার্যকর
এমন প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। গুগল গ্লোবাল নেটওয়ার্কিংয়ের ভ্যালি কমলভ এবং ম্যাটিয়া ক্যান্টনো এক ব্লগ পোস্টে গুগল কীভাবে ভূমিকম্প শনাক্ত করেছে, তা তুলে ধরেছেন।
প্রসঙ্গত, গুগলের ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, সমুদ্রের নিচের সাবমেরিন কেবল
ব্যবহার করে ভূমিকম্প আগাম শনাক্তের প্রাথমিক সাফল্যে গুগল টিম রোমাঞ্চিত। তারা এ
পদ্ধতির উন্নতি করতে কাজ করবে। ভবিষ্যতে তারা ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সিস্টেম তৈরির কাজ শুরু করবে।