‘চলতি বছর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্র ও যুদ্ধকবলিত দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি লোক ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গিয়েছেন’
ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করে ইউরোপে পৌছানো প্রত্যাশি এমন প্রায় ১০০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সি-ওয়াচ নামের একটি বেসরকারী সংস্থা শুক্রবার একথা জানিয়েছে।
সম্প্রতি আবহাওয়া ভালো থাকায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি ও ইউরোপের অন্যান্য অংশের উদ্দেশ্যে ছাড়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্র ও যুদ্ধকবলিত দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি লোক ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ভূমধ্যসাগরে সি-ওয়াচ থ্রি জাহাজ দুটি নৌকা থেকে ৩৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। এনজিওটি জানিয়েছে, মাল্টার জন্য নির্ধারিত ভূমধ্যসাগরের তল্লাশি ও উদ্ধার জোনে এই দুটি নৌকাকে লিবিয়ার কোস্টগার্ড আটক করেছিল।
উদ্ধার পাওয়াদের মধ্যে কোনো সঙ্গী ছাড়া নয়টি শিশু ছিল যাদের মধ্যে তিন জন বয়সে বেশ ছোট আর সাত মাসের গর্ভবতী এক নারী ছিলেন। উদ্ধার পাওয়া সবাই দক্ষিণ সুদান, তিউনিসিয়া, মরক্কো, আইভরি কোস্ট ও মালির বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী লিবিয়ার কোস্টগার্ডের জাহাজে থাকলেও তারা এনজিওটির জাহাজ দেখার পর সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেখান থেকে সি-ওয়াচ থ্রির ক্রুরা তাদের উদ্ধার করে জাহাজে তোলেন।
এরপর শুক্রবার ভোররাতে লিবিয়ার তল্লাশি ও উদ্ধার জোনে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি কাঠের নৌকা থেকে ৬০ জনেরও বেশি ইউরোপ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে সি-ওয়াচ থ্রি।
এখন থেকে উদ্ধার পাওয়াদের বেশিরভাগই লিবিয়ার নাগরিক বলে সি-ওয়াচ থ্রি জাহাজে থাকা রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন।