ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে নগদ সহায়তা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১ ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রপ্তানিতে সক্ষমতা বাড়াতে বেশকিছু পণ্যে নগদ সহায়তা বা ক্যাশ ইনসেনটিভ দিয়ে আসছে সরকার। এখাতে প্রতি বছর বাজেটে বিপুল অঙ্কের বরাদ্দ রাখাহয়ে থাকে। নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে শুরু করে ২০ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। সরকারের দেয়া এই নগদ সহায়তা পেতে অনেকেই প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন।

এদিকে পণ্য রপ্তানি না করেও তা দেখিয়ে নগদ সহায়তার টাকা তুলে নিচ্ছেন। কিংবা নগদ সহায়তার আওতা বহির্ভূত পণ্য রপ্তানি করে বেশি হারের পণ্য দেখাচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একই পণ্য কম রপ্তানি করে বেশি দেখিয়েও প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে নগদ সহায়তার অর্থ হাতিয়ে সেবার অভিযোগ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রপ্তানির ক্ষেত্রে সম্প্রতি এ ধরনের বেশকিছু কারসাজি ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে। রয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউজসহ অন্যান্য কাস্টমস হাউজেও।

বিষয়টি নজরে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ ধরনের কারসাজি রোধে পণ্য চালান পরীক্ষায় আরও সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। বিশেষত বাড়তি নগদ সহায়তার সম্পৃক্ততা রয়েছে, এমন পণ্য চালান এবং অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য চালান কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিকতা যাচাইয়ের নির্দেশনা এসেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের তরফে।

একই সঙ্গে বন্দরের বাইরে অফডকে পণ্য চালানের সংখ্যা ও অফডক কর্তৃপক্ষের কাছে রক্ষিত তথ্য যাচাই করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি এ ধরনের বেশকিছু জালিয়াতি ধরা পড়ার পর সতর্ক কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. ফখরুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত বেশ কিছু দিন ধরে নগদ সহায়তা পাওয়ার জন্য কিছু রপ্তানি পণ্যে অনিয়মের চিত্র পাওয়া গিয়েছে।

বর্তমানে ৩৭টি শ্রেণির ৪৭ ধরনের পণ্য বিভিন্ন হারে প্রণোদনা পায়। এর মধ্যে কয়েকটি পণ্য ২০ শতাংশ, কিছু পণ্য ১৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা পায়। আবার কিছু পণ্য ১ থেকে ৯ শতাংশ হারে প্রণোদনা পায়।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানি খাতে প্রণোদনা প্রদানের লক্ষ্যে বরাদ্দ রয়েছে ৭ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৭ ধরনের পণ্য রপ্তানির জন্য নগদ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা বেশি হারে পায় খাদ্য ও সবজিজাতীয় পণ্য রপ্তানিতে। এসব পণ্যে নগদ সহায়তা ১০ থেকে ২০ শতাংশ। জালিয়াত চক্র রপ্তানির এ অর্থ হাতিয়ে নিতে অন্য পণ্য রপ্তানি করে এসব পণ্য হিসেবে দেখাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে নগদ সহায়তা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

রপ্তানিতে সক্ষমতা বাড়াতে বেশকিছু পণ্যে নগদ সহায়তা বা ক্যাশ ইনসেনটিভ দিয়ে আসছে সরকার। এখাতে প্রতি বছর বাজেটে বিপুল অঙ্কের বরাদ্দ রাখাহয়ে থাকে। নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে শুরু করে ২০ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। সরকারের দেয়া এই নগদ সহায়তা পেতে অনেকেই প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন।

এদিকে পণ্য রপ্তানি না করেও তা দেখিয়ে নগদ সহায়তার টাকা তুলে নিচ্ছেন। কিংবা নগদ সহায়তার আওতা বহির্ভূত পণ্য রপ্তানি করে বেশি হারের পণ্য দেখাচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একই পণ্য কম রপ্তানি করে বেশি দেখিয়েও প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে নগদ সহায়তার অর্থ হাতিয়ে সেবার অভিযোগ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রপ্তানির ক্ষেত্রে সম্প্রতি এ ধরনের বেশকিছু কারসাজি ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে। রয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউজসহ অন্যান্য কাস্টমস হাউজেও।

বিষয়টি নজরে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ ধরনের কারসাজি রোধে পণ্য চালান পরীক্ষায় আরও সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। বিশেষত বাড়তি নগদ সহায়তার সম্পৃক্ততা রয়েছে, এমন পণ্য চালান এবং অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য চালান কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিকতা যাচাইয়ের নির্দেশনা এসেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের তরফে।

একই সঙ্গে বন্দরের বাইরে অফডকে পণ্য চালানের সংখ্যা ও অফডক কর্তৃপক্ষের কাছে রক্ষিত তথ্য যাচাই করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি এ ধরনের বেশকিছু জালিয়াতি ধরা পড়ার পর সতর্ক কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. ফখরুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত বেশ কিছু দিন ধরে নগদ সহায়তা পাওয়ার জন্য কিছু রপ্তানি পণ্যে অনিয়মের চিত্র পাওয়া গিয়েছে।

বর্তমানে ৩৭টি শ্রেণির ৪৭ ধরনের পণ্য বিভিন্ন হারে প্রণোদনা পায়। এর মধ্যে কয়েকটি পণ্য ২০ শতাংশ, কিছু পণ্য ১৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা পায়। আবার কিছু পণ্য ১ থেকে ৯ শতাংশ হারে প্রণোদনা পায়।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানি খাতে প্রণোদনা প্রদানের লক্ষ্যে বরাদ্দ রয়েছে ৭ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৭ ধরনের পণ্য রপ্তানির জন্য নগদ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা বেশি হারে পায় খাদ্য ও সবজিজাতীয় পণ্য রপ্তানিতে। এসব পণ্যে নগদ সহায়তা ১০ থেকে ২০ শতাংশ। জালিয়াত চক্র রপ্তানির এ অর্থ হাতিয়ে নিতে অন্য পণ্য রপ্তানি করে এসব পণ্য হিসেবে দেখাচ্ছে।