ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভার্চুয়াল সম্মেলন এবং ভারত-বাংলাদেশ কৃষি পণ্যের বাণিজ্য মেলা

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১ ২৩৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি : ভারতীয় হাইকমিশন

কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এপিইডিএ), বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতি এবং ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলা’র ২০২১ আয়োজন করেছে। কৃষিখাদ্য খাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার জন্য একটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংস্থা ও মূল অংশীদারদের একত্রিত করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী ২০১১ সাল থেকে সাফটার আওতায় বাংলাদেশের পণ্যগুলিতে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত বাজার প্রবেশাধিকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের বিশাল ভোক্তা বাজার বাংলাদেশ থেকে মানসম্পন্ন খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশাল সুযোগ সরবরাহ করে এবং এ প্রসঙ্গে দুইদেশের বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সংযোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে, উভয় সরকারের সক্রিয় আলোচনার মাধ্যমে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অংশীদারিত্বের জন্য ফলপ্রসূ হবে। তিনি এ জাতীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য খাদ্য সুরক্ষার মানদণ্ড এবং কারিগরী সুবিধার দ্রুত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্বের প্রতিও আলোকপাত করেন।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সভাপতি মো. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যায়ক্রমে বেনাপোল, সুতারকান্দি, বিলোনিয়া এবং রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, উভয় দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে নির্বিঘ্ন পরিচালনা, যাত্রীদের সুবিধা এবং সময়মতো পণ্য ছাড়করণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি জনাব আবদুল মতলুব আহমদ বলেন যে, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্বিঘ্ন পরিবহণ যোগাযোগ উভয় পক্ষের জাতীয় আয়কে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি স্থল শুল্ক স্টেশনগুলির আইসিডি, কোল্ড স্টোরেজ এবং গুদামগুলির উন্নয়নে বহুপাক্ষিক দাতাদের এবং বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল এবং ভৌতিক উভয় অবকাঠামো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য সুবিধাজনক হবে।

ভার্চুয়াল সম্মেলনে এপিইডিএ’র সভাপতি ড. এম. অঙ্গমুথু, বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সলিমুল হক ঈসা, বাংলাদেশের হালাল মাংস আমদানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, ভারতীয় হাই কমিশনের, বাণিজ্য প্রতিনিধি ডা. প্রম্যেশ বাসাল, এপিইডিএ’র পরিচালক ড. তরুণ বাজাজ এবং ভারতীয় হাই কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সম্মেলনে ভার্চুয়াল ক্রেতা-বিক্রেতা সভার জন্য একটি ই-ক্যাটালগ প্রকাশিত হয়। এরপর, ভার্চুয়াল বাণিজ্য মেলা বি২বি সভা এবং রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারকদের মধ্যে মতবিনিময় হয়। এই সম্মেলনে উভয় দেশের ২০০ টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভার্চুয়াল সম্মেলন এবং ভারত-বাংলাদেশ কৃষি পণ্যের বাণিজ্য মেলা

আপডেট সময় : ১০:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

ছবি : ভারতীয় হাইকমিশন

কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এপিইডিএ), বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতি এবং ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলা’র ২০২১ আয়োজন করেছে। কৃষিখাদ্য খাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার জন্য একটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংস্থা ও মূল অংশীদারদের একত্রিত করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী ২০১১ সাল থেকে সাফটার আওতায় বাংলাদেশের পণ্যগুলিতে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত বাজার প্রবেশাধিকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের বিশাল ভোক্তা বাজার বাংলাদেশ থেকে মানসম্পন্ন খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশাল সুযোগ সরবরাহ করে এবং এ প্রসঙ্গে দুইদেশের বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সংযোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে, উভয় সরকারের সক্রিয় আলোচনার মাধ্যমে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অংশীদারিত্বের জন্য ফলপ্রসূ হবে। তিনি এ জাতীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য খাদ্য সুরক্ষার মানদণ্ড এবং কারিগরী সুবিধার দ্রুত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্বের প্রতিও আলোকপাত করেন।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সভাপতি মো. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যায়ক্রমে বেনাপোল, সুতারকান্দি, বিলোনিয়া এবং রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, উভয় দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে নির্বিঘ্ন পরিচালনা, যাত্রীদের সুবিধা এবং সময়মতো পণ্য ছাড়করণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি জনাব আবদুল মতলুব আহমদ বলেন যে, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্বিঘ্ন পরিবহণ যোগাযোগ উভয় পক্ষের জাতীয় আয়কে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি স্থল শুল্ক স্টেশনগুলির আইসিডি, কোল্ড স্টোরেজ এবং গুদামগুলির উন্নয়নে বহুপাক্ষিক দাতাদের এবং বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল এবং ভৌতিক উভয় অবকাঠামো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য সুবিধাজনক হবে।

ভার্চুয়াল সম্মেলনে এপিইডিএ’র সভাপতি ড. এম. অঙ্গমুথু, বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সলিমুল হক ঈসা, বাংলাদেশের হালাল মাংস আমদানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, ভারতীয় হাই কমিশনের, বাণিজ্য প্রতিনিধি ডা. প্রম্যেশ বাসাল, এপিইডিএ’র পরিচালক ড. তরুণ বাজাজ এবং ভারতীয় হাই কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সম্মেলনে ভার্চুয়াল ক্রেতা-বিক্রেতা সভার জন্য একটি ই-ক্যাটালগ প্রকাশিত হয়। এরপর, ভার্চুয়াল বাণিজ্য মেলা বি২বি সভা এবং রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারকদের মধ্যে মতবিনিময় হয়। এই সম্মেলনে উভয় দেশের ২০০ টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।