ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারী বৃষ্টিতে জলে ভাসা মেগাসিটি ঢাকা ফেরে পুরানো চেহারায়

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

`ঢাকার বর্তমান ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টির জল নিষ্কাশনে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। ৫০ মিলিমিটার হলে সময় লাগছে ঘণ্টা চারেক। আর ৭০ মিলিমিটার জল নিষ্কাশনে সময় নেয় ১০ ঘণ্টা’

মৌসুমী বায়ু বাংলার আকাশে সক্রিয়। পূর্বাভাসও তাই বলছে। দেশের একটা অঞ্চলের মানুষের দিন গনণায় বর্ষার সময়টা তাদের কাছে কুলক্ষুনে। এসময় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বানভাসী হন তারা।

আর সেই সঙ্গে ঝুমঝুম ভারী বর্ষণে ঢাকার রাস্তা জলে সয়লাব। জল সরবার পথ খুঁজে না পেয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয়। যানবাহন চলতে গিয়ে বিকল। মানুষের যাতায়তে বাজেট ঘাটতি।

ব্যয় তখন ফনা তুলে দাঁড়ায় চোখের সামনে। যদিও এখন কভিড কাল। চলছে লকডাউন। তারপরও জরুরী কাজে কতনা মানুষকে বাইরে বেরুতে হচ্ছে। ঘর থেকে পা বাড়িতেই পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। জল থৈ থৈ রাস্তাঘাট। যানবাহনের ভাড়া কয়েক গুণ বাড়তি। এই বাড়তি ব্যয় কি করে সামাল দেবেন সাধারণ মানুষ?

ঢাকার খাল ভরাট। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও দুর্বল। জলনিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জলবদ্ধতা ঢাকায়। বেহিসেবী সাধারণ মানুষ। বিবেকহীনের মতো ময়লা-আবর্জনা ড্রেনের মধ্যে ফেলে দায়িত্ব শেষ করছে।

খাল ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে সচেতনতার অভাব প্রকট। এর ফলে মাঝারি বা ভারী বর্ষণেই রাস্তায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। কোন কোন স্থানে হাটু থেকে কোমড় ভাঙ্গা জল।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট সয়লাব হয়ে বিনে বাধায় জল ঢুকে যায় বাসাবাড়িতে। এই অস্বস্তিকর পরিবেশের লাগাম টানতে সিটি কর্পোরেশন বহু ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন জলবদ্ধতা। তবে এক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে মনে করে নগরবিদরা।

কারণ, রাজধানীতে বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে, তাদের সমন্বয় নেই বললেই চলে। কোন সংস্থা রাস্তা কেটে কাজ শেষে মেরামতের কিছু দিন পরই দেখা গেল অন্য কোন সংস্থা রাস্তা কেটে উন্নয়ন কাজ করছে। এ নিয়ে বহু দরবার কথা বার্তা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

ফলে ঢাকার জলাবদ্ধা স্থায়ী রূপ পেতে যাচ্ছে বলেই মনে করেন নগরবিদরা। তারা বলছেন ঢাকার জলাবদ্ধ দূর করতে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও জলাবদ্ধতা কাটচ্ছে না। এর পেছনের সঠিক ভাবে জল নিষ্কাশনের অভাব কাজ করছে।

ঢাকার বর্তমান ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টির জল নিষ্কাশনে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। ৫০ মিলিমিটার হলে সময় লাগছে ঘণ্টা চারেক। আর ৭০ মিলিমিটার জল নিষ্কাশনে সময় নেয় ১০ ঘণ্টা।

এক্ষেত্রে দ্রুত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থায় হাত লাগানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই বলে জানান নগরবিদরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভারী বৃষ্টিতে জলে ভাসা মেগাসিটি ঢাকা ফেরে পুরানো চেহারায়

আপডেট সময় : ১১:১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

ছবি সংগ্রহ

`ঢাকার বর্তমান ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টির জল নিষ্কাশনে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। ৫০ মিলিমিটার হলে সময় লাগছে ঘণ্টা চারেক। আর ৭০ মিলিমিটার জল নিষ্কাশনে সময় নেয় ১০ ঘণ্টা’

মৌসুমী বায়ু বাংলার আকাশে সক্রিয়। পূর্বাভাসও তাই বলছে। দেশের একটা অঞ্চলের মানুষের দিন গনণায় বর্ষার সময়টা তাদের কাছে কুলক্ষুনে। এসময় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বানভাসী হন তারা।

আর সেই সঙ্গে ঝুমঝুম ভারী বর্ষণে ঢাকার রাস্তা জলে সয়লাব। জল সরবার পথ খুঁজে না পেয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয়। যানবাহন চলতে গিয়ে বিকল। মানুষের যাতায়তে বাজেট ঘাটতি।

ব্যয় তখন ফনা তুলে দাঁড়ায় চোখের সামনে। যদিও এখন কভিড কাল। চলছে লকডাউন। তারপরও জরুরী কাজে কতনা মানুষকে বাইরে বেরুতে হচ্ছে। ঘর থেকে পা বাড়িতেই পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। জল থৈ থৈ রাস্তাঘাট। যানবাহনের ভাড়া কয়েক গুণ বাড়তি। এই বাড়তি ব্যয় কি করে সামাল দেবেন সাধারণ মানুষ?

ঢাকার খাল ভরাট। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও দুর্বল। জলনিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জলবদ্ধতা ঢাকায়। বেহিসেবী সাধারণ মানুষ। বিবেকহীনের মতো ময়লা-আবর্জনা ড্রেনের মধ্যে ফেলে দায়িত্ব শেষ করছে।

খাল ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে সচেতনতার অভাব প্রকট। এর ফলে মাঝারি বা ভারী বর্ষণেই রাস্তায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। কোন কোন স্থানে হাটু থেকে কোমড় ভাঙ্গা জল।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট সয়লাব হয়ে বিনে বাধায় জল ঢুকে যায় বাসাবাড়িতে। এই অস্বস্তিকর পরিবেশের লাগাম টানতে সিটি কর্পোরেশন বহু ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন জলবদ্ধতা। তবে এক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে মনে করে নগরবিদরা।

কারণ, রাজধানীতে বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে, তাদের সমন্বয় নেই বললেই চলে। কোন সংস্থা রাস্তা কেটে কাজ শেষে মেরামতের কিছু দিন পরই দেখা গেল অন্য কোন সংস্থা রাস্তা কেটে উন্নয়ন কাজ করছে। এ নিয়ে বহু দরবার কথা বার্তা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

ফলে ঢাকার জলাবদ্ধা স্থায়ী রূপ পেতে যাচ্ছে বলেই মনে করেন নগরবিদরা। তারা বলছেন ঢাকার জলাবদ্ধ দূর করতে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও জলাবদ্ধতা কাটচ্ছে না। এর পেছনের সঠিক ভাবে জল নিষ্কাশনের অভাব কাজ করছে।

ঢাকার বর্তমান ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টির জল নিষ্কাশনে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। ৫০ মিলিমিটার হলে সময় লাগছে ঘণ্টা চারেক। আর ৭০ মিলিমিটার জল নিষ্কাশনে সময় নেয় ১০ ঘণ্টা।

এক্ষেত্রে দ্রুত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থায় হাত লাগানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই বলে জানান নগরবিদরা।