ভারত-বাংলাদেশ সুন্দরবন অংশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস

- আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ ২১৩ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বের আবহাওয়াবিদদের এমনই পূর্বাভাস। ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ২৩-২৪ মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের উত্তর-পূর্ব অংশে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘ইয়াস’। এক সপ্তাহ আগেই আমেরিকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল এই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কথা বলেছিল।এখন বিশ্বের সব আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কথা নির্দেশ করছে।
প্রায় সব মডেলই বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি ২৫ মে মধ্যরাত থেকে ২৬ মে সন্ধ্যার মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। ঘূর্ণিঝড়টি ওডিশার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা বলছে শুধু মাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের মডেল।
বাকি সব মডেলই (আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি) নির্দেশ করছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশের ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
২০২০ সালের ২০ মে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মানুষদের স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ নির্মাণের আবেগস্পর্শী ছবি দেখেছে মানুষ। আতঙ্কের কথা, আম্পান যে স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল, প্রায় একই স্থান (সাতক্ষীরা, খুলনা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল) দিয়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করতে পারে।
এসংক্রান্ত একটি নিবন্ধে এমন তথ্যই জানালেন, মোস্তফা কামাল। যিনি আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক, স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি, সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা।
তার মতে মডেলগুলোর সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি একটি মধ্যম মানের ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। অপেক্ষাকৃত কম গতিবেগের বাতাসের কারণে এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির সক্ষমতা সম্বন্ধে অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে।
তাই সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ২৬ মে হলো ভরা পূর্ণিমা। ফলে চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবী একই অক্ষে অবস্থান করবে। চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত অভিকর্ষে এদিন উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক নিয়মেই ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হবে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে যার সঙ্গে যুক্ত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস।
তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, ২৬ মে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানে, তবে উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে। বেড়িবাঁধের অপেক্ষাকৃত দুর্বল স্থানগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঘূর্ণিঝড়টির উপকূলে আঘাত হানার সম্ভব্য দিন ২৬ মে। জান ও মালের ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য পাঁচ দিন পর্যাপ্ত সময়।