ছবি: সংগৃহীত
প্রায় বছর ন’ আগে ২০১২ সালের শেষ নাগাদ ভারত সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। দু’দেশের মধ্যে সেটিই ছিল সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। বেশ ক’বছর ধরেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন হয় না। ২২ গজ ছাড়িয়ে ভক্তদের মাঝে যে উত্তাপ তৈরি হয়,
সে লড়াই থেকেই বঞ্চিত হয়ে আছে দু’দেশের সমর্থকরা। একটা সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ছিল দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। রাজনৈতিক কারণে দু’দশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। আইসিসি বা এসিসির কোনো টুর্নামেন্ট থাকলেই কেবল কালেভদ্রে মুখোমুখি হয় দুই দল। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ভক্তদের মধ্যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের যে বাড়তি উত্তেজনা থাকে তা অন্য কোনো ম্যাচে দেখা যায় না।
আসলে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ আয়োজন সহজ ব্যাপার নয়। ভারত সরকারের সবুজ সঙ্কেত না পেলে বিসিসিআই এই ব্যাপারে এগোতে পারে না।
মাঝের সময়টায় আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট কিংবা এশিয়া কাপে বহুবার মুখোমুখি হলেও, তাদের নিজেদের মধ্যে কোনো সিরিজ হয়নি। দুই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিকট ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সম্ভাবনা দেখছে না আইসিসিও। ক্রিকেটের
সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অন্তর্র্বতীকালীন প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস এক্ষেত্রে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের পারস্পরিক সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন।
অ্যালারডাইস আরও বলেছেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়াও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই উপভোগ্য। তবে দুই দেশের মধ্যকার যে সম্পর্ক, তাতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।’ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই আসরেও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো টেস্ট সিরিজ রাখা হয়নি।
এ বিষয়ে আইসিসি প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, ‘এখানে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হবে।’
তবে সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজা জানিয়েছিলেন তিনি সৌরভ গাঙ্গুলী এবং জয় শাহের সঙ্গে সু সম্পর্ক রেখে এগোতে চান। সৌরভের সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। নিকট ভবিষ্যতে ভারত-পাক সিরিজ হওয়ার আশা একেবারেই যে নেই সেটা বলা যাবে না। পট পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগে না।