ভারত থেকে আনা সরকারী চাল দীর্ঘদিনেও খালাস হচ্ছে না

- আপডেট সময় : ১০:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ ২৫৩ বার পড়া হয়েছে
৪৭ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে খুলনার নৌঘাটে খালাসের অপেক্ষা কার্গো ছবি সংগ্রহ
সরকারের পরিকল্পনা মাফিক দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ, ভিজিএফ, ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে ভারত থেকে চাল আমদানি করা ৪৭ হাজার মেট্রিক টন চাল বোঝাই ৩৫টি কার্গো আটকে আছে। এসব চাল দেশের ৬ বিভাগের গুদামে সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু খালাস জটিলতায় চাল বোঝাই কার্গোগুলো অলসভাবে পড়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সরকার বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে এসব চাল আমদানি করা হয়। লকডাউনের দোহাই দিয়ে খুলনায় আমদানি করা সরকারি চাল খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
খাদ্য বিভাগের (চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-নিয়ন্ত্রক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ভারত থেকে চাল নিয়ে ধারাবাহিকভাবে মোংলা বন্দরে জাহাজ আসে ও কার্গোতে
খালাস হয়। এ অবস্থায় লকডাউনের কারণে নির্ধারিত সময়ে এ চাল বিভিন্ন গুদামে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আরও ২ লাখ মেট্টিক টন চাল খুলনায় আসার কথা জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ২ লাখ ৪৩ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানির জন্য চুক্তি হয়েছিলো। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোংলা বন্দর ও খুলনার বিভিন্ন বন্দরে ১ লাখ ৯৩ হাজার মেট্টিক টন চাল এসে পৌছে।
যার মধ্যে ৩৫টি কার্গোতে ৪৭ হাজার টন মেট্টিক টন চাল খুলনার তিনটি নৌঘাটে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ৪নং ঘাটে ১৬টি, ৫নং ঘাটে সাতটি ও মহেশ্বরপাশা ঘাটে ১৪টি কার্গো রয়েছে।
এসব চাল দুঃস্থ, অসহায় পরিবার, ভিজিএফ, ওএমএস, জেলে, ঈদ উপলক্ষে এক কোটি পরিবার, আনসার, জেলখানা, পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার ব্রিগেডের মাঝে বিতরণের কথা রয়েছে। এসব চাল ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন গুদামে পাঠানো হবে।
৪নং ঘাটে অপেক্ষারত কার্গো রাজু অ্যান্ড তুহিন নেভিগেশনের চালক আব্দুস সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (২৮ মে) দুই দিন পর ২৯ হাজার ৪০০ ব্যাগ চাল বোঝাই করে তারা কলকাতা
বন্দর ত্যাগ করেন। মোংলা ৪নং ঘাটে এক মাস বিলম্ব হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে চাল খালাস শুরু হয়। খালাস শেষ হতে ঈদ পার হয়ে আরও এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
৪নং ঘাটের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম জানান, জুলাইয়ের শুরু থেকে অতিবৃষ্টি, শ্রমিক সংকট, ঠিকাদারের অনুপস্থিতি, ট্রাক সংকট ইত্যাদি কারণে ঘাটে কার্গোর চাল খালাস করা সম্ভব হয়নি।