ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে বিদেশি রোগীর ৫৪% বাংলাদেশি!

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১ ২১২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল অ্যান্ড ওয়েলনেস ট্যুরিজম প্রোমোশন বোর্ডের সদস্য বিখ্যাত চিকিৎসক ড. দেবী শেঠিকে বলেছেন, বাংলাদেশের রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী হার্টের জটিল সমস্যা এবং ক্যানসারের চিকিৎসা করতে ভারতে যাচ্ছেন।

২০০৯ সালের দিকেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। তখন ভারতের বিদেশি রোগীর ২৩.৬ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি, মালদ্বীপ ছিল শীর্ষে ৫৭.৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে সেই মালদ্বীপ ৭.৩ শতাংশে নেমে আসে আর বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ৫৭.৫ শতাংশে।

দেবী শেঠি মনে করেন, বিদেশি রোগীদের ভারতে যাওয়ার হার আগের অবস্থায় ফিরতে ৩ থেকে ৬ মাস লাগবে। মহামারি শুরু হওয়ার পর রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আগের অবস্থায় আসতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।

কয়েকটি দেশ থেকে মেডিকেল ভিসায় যত পর্যটক গত বছর ভারতে গিয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাংলাদেশের। ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এই হার ৫৪.৩ শতাংশ।

দেবী শেঠির বলছেন, ১৬৬টি দেশের জন্য সরকারের ই-ভিসা কার্যক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনেক বিদেশি রোগীর চাহিদা মিটিয়েছে। কম খরচে ভালো চিকিৎসার পাশাপাশি একই খাবার, ভাষার

মিল এবং সাংস্কৃতিক স্বাচ্ছন্দ্য বাংলাদেশের জন্য ভারতের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির কারণ বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পত্রিকাটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলছে, ২০২০ সালে ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক গেছে বাংলাদেশ থেকে। গত বছর ভারতের মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দ্বিতীয় ইরাকিরা, তাদের হার ৯ শতাংশ।

এরপর আফগানিস্তান থেকে ৬ শতাংশ, মালদ্বীপ থেকে ৪ দশমিক ৫ এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে গেছেন ৪ শতাংশ লোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভারতে বিদেশি রোগীর ৫৪% বাংলাদেশি!

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল অ্যান্ড ওয়েলনেস ট্যুরিজম প্রোমোশন বোর্ডের সদস্য বিখ্যাত চিকিৎসক ড. দেবী শেঠিকে বলেছেন, বাংলাদেশের রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী হার্টের জটিল সমস্যা এবং ক্যানসারের চিকিৎসা করতে ভারতে যাচ্ছেন।

২০০৯ সালের দিকেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। তখন ভারতের বিদেশি রোগীর ২৩.৬ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি, মালদ্বীপ ছিল শীর্ষে ৫৭.৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে সেই মালদ্বীপ ৭.৩ শতাংশে নেমে আসে আর বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ৫৭.৫ শতাংশে।

দেবী শেঠি মনে করেন, বিদেশি রোগীদের ভারতে যাওয়ার হার আগের অবস্থায় ফিরতে ৩ থেকে ৬ মাস লাগবে। মহামারি শুরু হওয়ার পর রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আগের অবস্থায় আসতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।

কয়েকটি দেশ থেকে মেডিকেল ভিসায় যত পর্যটক গত বছর ভারতে গিয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাংলাদেশের। ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এই হার ৫৪.৩ শতাংশ।

দেবী শেঠির বলছেন, ১৬৬টি দেশের জন্য সরকারের ই-ভিসা কার্যক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনেক বিদেশি রোগীর চাহিদা মিটিয়েছে। কম খরচে ভালো চিকিৎসার পাশাপাশি একই খাবার, ভাষার

মিল এবং সাংস্কৃতিক স্বাচ্ছন্দ্য বাংলাদেশের জন্য ভারতের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির কারণ বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পত্রিকাটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলছে, ২০২০ সালে ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক গেছে বাংলাদেশ থেকে। গত বছর ভারতের মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দ্বিতীয় ইরাকিরা, তাদের হার ৯ শতাংশ।

এরপর আফগানিস্তান থেকে ৬ শতাংশ, মালদ্বীপ থেকে ৪ দশমিক ৫ এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে গেছেন ৪ শতাংশ লোক।